অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় দুই মাস কর্মহীন কাটাবেন জেলেরা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত ১১:০৮

remove_red_eye

৬৮৯

জেলে পাড়ায় অভাবের শঙ্কা
শ ম ফারুক \ ভোলার দৌলতখানে মৎস্য অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্চ এপ্রিল দুই মাস কর্মহীন কাটাবে ভোলার দের লক্ষাধিক জেলে। ফলে অভাব অনটনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে জেলে পারাগুলোতে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে সরকার প্রতি বছর মার্চ এপ্রিল এ দুই মাস মেঘনার শাহবাজপুর চ্যানেলে ভোলার ইলিশা মদনপুর থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার জলসীমায় সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। এ জলসীমায় দৌলতখানের রয়েছে প্রায় ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা। দৌলতখানের বেশির ভাগ জেলেরা এ জলসীমায়ই মাছ ধরে থাকে। এদিকে গত নভেম্বরে শুরু হয়ে আগামী জুন মাস পর্যন্ত জাটকা রক্ষা অভিযান চলমান থাকায় এবং নদীতে বড় ইলিশের স্থলে জাটকার আধিক্য থাকায় জেলেরা ইলিশ শিকারে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকার জেলেদের সহযোগিতা হিসেবে প্রতি জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চার মাস ভিজিএফের চাল বরাদ্দ রেখেছে। কিন্ত জেলেদের অভিযোগ তারা এ চাল এক বা দুই মাসের বেশি পান না। এ ছাড়া পরিমানেও কম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। দৌলতখান পৌর ১ নং ওয়ার্ডের জেলে জসিম, ইসমাইল ও জব্বার বলেন, সরকার আমাগরে চাউল দেয় ভাত খাওনের লইগগা (জন্য)। কিন্তু ভাতের লগে অন্য জিনিস যোগার করতে আমাগ ধার দেনা করতেই হয়। উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি দৌলতখান পৌর কাউন্সিলর মো: আলমগীর হোসেন বলেন, সরকার গৃহীত পদক্ষেপকে আমরা সম্মান জানাই। তবে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম দুর করতে বিতরণ কার্যক্রমে জেলেদের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তির দাবি জানান।
 উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আমির হোসেন বলেন, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা শতভাগ বাস্তবায়নে দৌলতখানে ইতিমধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে। জেলেদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিক স্থানে সভা করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে দিনশেষে জেলেরাই লাভবান হবেন।