অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় প্রথম দিনে করোনা ভ্যাকসিন নিলেন ২৪৭ জন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত ১০:৫৪

remove_red_eye

৬৭৫



টিকা প্রদান  কার্যক্রমের উদ্বোধন


হাসনাইন আহমেদ মুন্না : ভোলা জেলায়  করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় ভোলা সদর হাসপাতালে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক। প্রথমে ভোলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা: রথীন্দ্রনাথ মজুমদার করোনার টিকা গ্রহণ করেন। একইসাথে জেলার অন্য ৬ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যকসিন প্রদান শুরু করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে প্রথমদিনে সদর উপজেলায় নিবিন্ধিত ৯০ জনের মধ্যে করোনার টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। জেলায় মোট ২৪৭জন টিকা নিয়েছেন। ভ্যকসিন নিয়ে সবাই সুস্থ্য রয়েছেন। কারো মধ্যে কোন পার্শ্বপতিক্রীয়া দেখা যায়নি। এপর্যন্ত ৭২৩ জন নিবন্ধিত হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা করোনার ভ্যকসিন দিতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি। কারণ বাংলাদেশসহ পৃথীবির অল্পকিছু দেশে এই ভ্যকসিন দেয়া হচ্ছে। এই ভ্যকসিনটি সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ভ্যকসিন। এটি অত্যান্ত নিরাপদ। এ পর্যন্ত দেশে যারাই এটি গ্রহণ করেছেন তাদের বড় ধরনের কোন পার্শ্বপতিক্রীয়া দেখা যায়নি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, জেলায় প্রথম ধাপে ৬০ হাজার ডোজ করোনার ভ্যকসিন এসেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ডোজ, চরফ্যাশনে ১২ হাজার, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, দৌলতখান উপজেলায় ৯ হাজার ডোজ করে ২৭ হাজার ও তজুমদ্দিন ও মনপুরায় ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার ডোজ ভ্যকসিন দেয়া হবে ৩০ হাজার মানুষের মাঝে।
তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩ পর্যন্ত টিকা প্রদান চলবে। সরকারের নির্দেশনা অনুয়ায়ী যাদের কথা বলা হয়েছে তারাই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রথম ধাপে টিকা পাবেন বলে জানান জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান এই কর্মকর্তা।
করোনার ভ্যকসিন গ্রহণকারী ভোলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা: রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত ভ্যকসিন গ্রহণ করতে পেরে। করোনার থেকে সুরক্ষার জন্য ভ্যকসিন একটি ঔষুধ। অন্যন্য ঔষুধের যেমন পার্শ্বপতিক্রীয়া থাকে তেমনি এটিরও থাকতে পারে। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। অপর ভ্যাকসিন নেয়া প্রফেসর ডা: খাদিজা বেগম বলেন, এখন আর করোনার আতংকে থাকতে হবেনা। নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছে। তিনি সুস্থ্য ও ভালো আছেন বলেও জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা পুলিশ সূপার সরকার মো: কায়সার, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: সিরাজউদ্দিন প্রমূখ।