অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে ৩৩ বছর শিক্ষার আলো বিলিয়েছেন অধ্যক্ষ কয়ছর আহমেদ দুলাল


এ আর সোহেব চৌধুরী

প্রকাশিত: ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ রাত ১০:০৫

remove_red_eye

৪৮৭


এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন : দিগন্তে অস্ত যাওয়া সূর্য উষ্ণ আলো ছড়িয়ে আড়াল হলেও নিড়ে ফেরা বাবুই পাখির মতোই অধ্যক্ষ কয়ছর আহমেদ দুলাল মেধা ও দূরদর্শী জ্ঞানে সাজিয়ে গিয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থীর প্রিয় ক্যাম্পাস চরফ্যাশন সরকারী কলেজকে। উষ্ণ আলোর সূর্য ডুবে গেলেও আবারো ভোর হবে পূর্ব আকাশে,সূর্য উঠবে আবার ছড়াবে নতুন আলো। যে আলোয় আলোকিত হবে জগৎ জনপদের বাসীন্দারা। আলোর এ ফেড়িওয়ালা ১৯৮৭ সালে চরফ্যাশন সরকারী কলেজে বাংলা বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে চাকুরিতে যোগ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন চাকুরি করে পদন্নতি পেয়ে এ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। কয়ছর আহমেদ দুলাল অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর চরফ্যাশন ও মনপুরার গণ মানুষের জননেতা, মাটি ও মানুষের সন্তান আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি’র সু-দৃষ্টিতে এবং অধ্যক্ষের দিকনির্দেশনায় কলেজে অনার্স কোর্স চালুর পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনে নানান স্থাপনা তৈরী করা হয়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্য দিয়ে প্রিয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার মানেরও উন্নয়ন করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ ক্যাম্পাসগুলোর মধ্যে চরফ্যাশন সরকারী কলেজটিও যায়গা করে নেয় শিক্ষার আলো ছড়ানো কবি ও সাহিত্যিক অধ্যক্ষ কয়ছর আহমেদ দুলালের হাত ধরে। সরকারী এ কলেজের সম্প্রতী ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। আর এ জয়ন্তী উদযাপনের মধ্য দিয়েই তার কর্মময় জীবনেও অভিষেক হয়েছে জীবন ডায়রির শত সহস্র পাতায় লিখে রাখা নানান দিবসের। যা তিনি বিলিয়ে গিয়েছেন হাজারো ছাত্রছাত্রীর অন্তরে। তার এ কর্মস্থলেই তিনি শিক্ষা,সংস্কৃতি ও ধর্মসহ রাজনৈতীক নানান কর্মকান্ডে প্রত্যেকটি দিন,পত্যেকটি সপ্তাহ-মাস ও প্রত্যেকটি বছরে মেধা ও শ্রম দিয়ে গিয়েছেন শিক্ষা বৃক্ষের সবুজ বনানি স্থাপনে। এছাড়াও কয়ছর আহমেদ দুলাল আদর্শীত রাজনৈতীক গুনাবলীর পাশাপাশি শিক্ষা,সাংস্কৃতিসহ সাহিত্যেও একজন পারদর্শী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠীত করেছেন। জীবনের প্রায় ৩৩টি বছর শিক্ষার আলো বিলি করেছেন চরফ্যাশন সরকারী কলেজের এ অধ্যক্ষ। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ছিলো তার কর্মস্থল চরফ্যাশন সরকারী কলেজের শেষ কর্মদিবস। আর এ শেষ কর্মদিবসটিই তিনি কাটিয়েছেন অধ্যক্ষ কার্যালয়সহ অফিসিয়াল নানান কাজকর্ম ও ক্যাম্পাস পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে। শিক্ষার আলো ফেরি করা অধ্যক্ষ কয়ছর আহমেদ দুলালের সঙ্গে শেষ কর্মদিবস নিয়ে কথা বললে তিনি ও তার পরিবারের জন্য সকলের নিকট দোয়া ও আন্তরিক ভালোবাসা কামনা করে বলেন, “কলেজের শুরু থেকে আমি যা পেয়েছি হয়তো বা তার প্রতিদানে এ কলেজকে আমি কিছুই দিতে পাড়িনী” সবাই আমার পরিবার ও আমার জন্য দোয়া করবেন।