বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ই ডিসেম্বর ২০২০ রাত ১১:০৪
৫৩৮
হাসনাইন আহমেদ মুন্না : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে ভোলাতেও আনন্দে মেতে উঠে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পাকবাহিনীর রেসকোর্স ময়দানে আত্বসমর্পনের খবর রেডিওতে প্রচারের ফলে মুহুর্তের মধ্যে উল্লাসে ফেটে পড়ে দ্বীপজেলা ভোলার মানুষ। যে যার অবস্থান থেকে সেদিন রাজপথে নেমে আসে বিজয়ের সুখে। রাজপথে স্রোতের মত মানুষের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস বিজয়কে বরণ করে নেয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ মুজিব, শেখ মুজিব, ইত্যাদী ¯েøাগানে রাজপথ প্রকম্পিত হয় ১৬ ডিসেম্বর।
মুহুর্তের মধ্যে সকল সরকারি-বেসরকারি ও বড় বড় ভবনের পাকিস্থানী পতাকা খুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। উত্তোলণ করা হয় লাল সবুজের স্বাধীন দেশের পতাকা। একইসাথে চলে রং ছিটানোর উৎসব ও মিষ্টি বিতরণ। যদিও ১০ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর পলায়নের মাধ্যমে ভোলা মুক্ত হওয়ার পর থেকেই এখানে আনন্দ চলতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর যেন তা পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: দোস্ত মাহমুদ জানান, ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার খবরে আমাদের আনন্দের সীমা থাকেনা। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আকাশে ফাঁকা গুলি করে বিজয়কে স্বাগত জানাই। বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে সমবেত হতে থাকে । জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতে দিতে আমরা রাজপথে নেমে যাই। সেদিন সাধারণ মুক্তিকামী মানুষও আমাদের সাথে পথে নেমে আসে। এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা হাই কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান, আলী আকবর (বড় ভাই), হাবিবুর রহমান, মো: ছাদেক, আব্দুল মমিন টুলু (বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান), নানু ভাই, শষি, মো: সাইফুল্লাহ, মো: ছালেহ আহমেদ, গাজী জয়নাল আবেদিন, তিনি মো: দোস্ত মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম, একে এম খাইরুল আলম ভুলু, আবুল হোসেন, সুবেদার সিদ্দিক, মাহবুবুর রহমান শিশু, ফিরোজ আহমেদ, মো: রাজ্জাক, মুজিবুর রহমান, সফিকুল ইসলামসহ আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে শহরে বিজয় র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সফিকুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, বিকেলে শহরের সদরোডস্থ বরিশাল দালানের সামনে জনতা ও মুক্তিযোদ্ধারা মিলে বিজয় সমাবেশ করি আমরা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের আনন্দ, বেদনা, কষ্টের অনুভুতি প্রকাশ করি সেই সমাবেশে। সাধারণ মানুষ ব্যাপক করোতালী ও উচ্ছাসের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানান।
মুক্তিযোদ্ধা একে এম খাইরুল আলম ভুলু ব বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালী জাতীর জীবনে যেমন গৌরবের দিন, তেমনি প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার জীবনে স্বরণীয় দিন। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে যাই। তাই স্বাধীনতার চেয়ে আরধ্য আর কিছু ছিলোনা আমাদের কাছে।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: কাঁদছে বাংলাদেশ
৫১টি দল মনোনয়ন জমা দিয়েছে: ইসি
রুমিন ফারহানাসহ বিএনপির ৯ নেতা বহিষ্কার
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি হারাল এক মহান অভিভাবক : প্রধান উপদেষ্টা
দেশের মানুষই ছিল তার পরিবার, অস্তিত্ব: মাকে নিয়ে তারেক রহমান
আমরা গভীর শোক ও বেদনায় নিস্তব্ধ, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা
নেত্রীর জন্য দোয়া চাই, গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই: ফখরুল
খালেদা জিয়ার জানাজা পড়াবেন যিনি
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ঢাকা-ভোলা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসে যুক্ত হলো এমভি দোয়েল পাখি-১র
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
জাতীয় সংসদে জাতির পিতার ছবি টানানোর নির্দেশ
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক