অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার পূর্ব ইলিশায় জমি বিরোধ নিয়ে কৃষক পরিবারের উপর হামলা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২০ রাত ০৮:৪৬

remove_red_eye

৬১২


আকতারুল ইসলাম আকাশ :  ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ পার্ট-১ গ্রামে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জের ধরে দরিদ্র কৃষক শাহাবুদ্দিনের পরিবারের উপর  হামলা মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী হোসেন বেপারী গ্রæপের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি থাকার কারনে অনেক আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে পরিবারটি। কোথাও ন্যায় বিচারের দাবিতে গেলে তা থেকেও বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেন দরিদ্র কৃষক শাহাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী ময়না বেগম।
ভুক্তভোগী ময়নার পরিবার জানায়, বাড়ির ৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল হোসেন বেপারীর সঙ্গে। যা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলে দীর্ঘ অপেক্ষার পর শাহাবুদ্দিনের পরিবার ওই জমির মালিকানা পায়। এবং এরপর থেকে শাহাবুদ্দিনের পরিবার ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। শাহাবুদ্দিনের পরিবার জমির মালিকানা পাওয়ার পর থেকে কারনে অকারণে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাচ্ছেন হোসেন বেপারী। এছাড়াও শাহাবুদ্দিনের ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মারধরও করেন হোসেন বেপারীর স্ত্রী ছকিনা বেগম, ছেলে আকবর হোসেন, ছেলের স্ত্রী মিনারা বেগম, আকলিমা ও মেয়ে মুক্তা বেগম।অভিযোগ উঠেছে গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাহাবুদ্দিনের ১০ বছরের মেয়ে রিমা বেগমকেও হাত মুখ চেপে ধরে মারধর করেন আকবর হোসেন। এনিয়ে বাগবিতÐার একপর্যায়ে শাহাবুদ্দিনের পরিবার ও হোসেন বেপারীর পরিবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এ এসআই সুজন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।শাহাবুদ্দিনের পরিবারের দাবি হোসেন বেপারী গ্রæপের অত্যাচারে দিনদিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন তাঁরা।তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত হোসেন বেপারীর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে হোসেন বেপারীর ছেলের স্ত্রী মিনারা বেগম ২২ নভেম্বরের ঘটনার সত্যতা শিকার করে তিনি জানান, শাহাবুদ্দিনের পরিবার উশৃঙ্খল। তাঁরাই কারনে অকারণে তাদের সাথে ঝগড়াঝাটি করছেন।ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এ এসআই সুজন জানান, ২২ নভেম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এছাড়াও ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে দ্ব›দ্ব ধরে। পরে খবর পেয়ে তিনি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন।