অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


১৯ বছর বয়সে সফল ডিজিটাল মার্কেটার "তুহিন"


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ০৯:০৭

remove_red_eye

১১৮৪




এম শরীফ আহমেদ : তরুণরা দেশের সম্পদ, এটি সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষিত তরুণ যখন চাকরি নামে সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে একটা সময় নিজেকে বেকার তালিকায় নাম লেখায়, তখন তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এই সঙ্কটময় সময় অকুতোভয় এক তরুণ চাকরির পেছনে না ছুটে চাকরি দেয়ার পণ করে বসে। বলছিলাম দূরদর্শী তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল মার্কেটার মাইনুল ইসলাম তুহিনের কথা। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ।এর মধ্যেই ডিজিটাল মার্কেটিং দুনিয়ায় রেখেছেন সাফল্যের পদধূলি। তুহিন একাধারে ইনফ্লুয়েন্সার, উদ্যোক্তা এবং বøগার। ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু করার চিন্তা সর্বদা তাকে দাপিয়ে বেড়াত।
চাকরীর আশায় বসে না থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সাফল্য অর্জন করেছেন মাইনুল ইসলাম তুহিন। নিজে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য তরুণের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তার সফলতা দেখে এখন আরও অনেক তরুণই এই পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এবং মাইনুল ইসলাম তুহিন এর ইউটিউব চ্যানেলের প্রথম ইনকাম দিয়ে গরীব দম্পতিকে একমাসের বাজার খরচ দিয়ে সহায়তা করায় বরগুনা জেলার মানুষের কাছে পজিটিভ ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
মাইনুল ইসলাম তুহিন প্রথম থেকেই নতুন কিছু করতে আগ্রহী ছিলেন। তার কঠিন পরিশ্রম ও লক্ষ্য আজ সফলতার দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অল্প বয়স থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুরু করেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ঞঁযরহঞঁনব মূলত ফেসবুকের জন্য কন্টেন্ট তৈরির কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন তারা।
বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিং কে বিশাল একটি সম্ভাবনা ক্ষেত্রে বলে মনে করেন মাইনুল ইসলাম তুহিন। তিনি জানান, দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এই সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। এর জন্য সবার প্রথমে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার। কি ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে লাখো মানুষ সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কনটেন্ট তৈরি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মাইনুল ইসলাম তুহিন। আবার অনেকেই ভাল কনটেন্ট তৈরি করেও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের জন্য সব সময় কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখেন মাইনুল ইসলাম তুহিন। নিজের ক্যারিয়ার শুরুতে পার করেছেন অনেক ধরনের বাধা বিপত্তি। তাই ডিজিটাল দুনিয়ার কাজ করতে আসা তরুণরা যেন বাধার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য মাইনুল ইসলাম তুহিন চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজ জায়গা থেকে।
এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সামাজিক নানা কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বøগিং করেন। মাইনুল ইসলাম তুহিন বিশ্বাস করেন যে, পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব। তিনি বুঝিয়েছেন যে সত্য ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে এই সমাজে মিথ্যা কে ঢেকে  দেয়া সম্ভব।
একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে মাইনুল ইসলাম তুহিন বিশ্বাস করেন সফলতার কোন শর্টকাট পথ নেই। মানুষ নিজের সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়ে উঠে। যেখানে মানুষের কাজের কোনো সততা নেই সেখানে কাজের প্রকৃত সম্মান পাওয়া যায় না। এবং প্রকৃত সফলতা পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি মানুষের সততা ঠিক রেখে কাজ করা উচিত। পরিশ্রম মানুষকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যায়। সততা ও ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।
ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্যের প্রমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইনফ্লুয়েন্সার্ মার্কেটিং-এসবই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। প্রথাগত চাকরির বাজারে ছুটতে ছুটতে জীবনের অর্ধেক সময়টাই পার হয়ে যায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। তাই বর্তমান সময়ে তাল মিলাতে চাইলে প্রথাগত চিন্তাভাবনা ছেড়ে ভাবতে হবে নতুন কিছু। এই দিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা।