অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১০ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৭শে পৌষ ১৪৩১


সামরিক অভিধান’ থেকে আমাদের ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেয়া উচিৎ : প্রধানমন্ত্রী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ০৮:৫২

remove_red_eye

৫১৪

বাংলার কন্ঠ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সামরিক অভিধান’ থেকে ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটা দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তিনি আর্মড ফোর্সেস সিলেকশন বোর্ড মিটিং ২০২০-এ একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মার্শাল ল’ রক্তপাত ছাড়া দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তাই, ‘সামরিক অভিধান’ থেকে আমাদের ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেয়া উচিৎ।’ জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলের ১৯টি ক্যু-এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময়ে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিককে হত্যা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে সশস্ত্র বাহিনীর এতো বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে যে যুদ্ধেও এতো বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিহত হয়নি। আমরা (সশস্ত্র বাহিনীতে) আর কোন ছেলে হারা পিতা বা পিতা হারা ছেলের কান্না শুনতে চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের পর একের পর এক ক্যুয়ের কারণে সশস্ত্র বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, এই সব ক্যু-এর নামে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘সেনা ও বিমান বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি রক্তপাত হয় এবং আমাদেরকে বহু স্বামী হারা বিধবা ও পুত্র হারা বাবা-মায়ের কান্না শুনতে হয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও একে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলা তাঁর সরকারের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আমাদের পরিবারের সম্মানিত সদস্য। তারা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই বাহিনীকে আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্যকে সামরে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তাঁর সরকার দেশের সুরক্ষা ও কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বহিনীকে আরো সুসজ্জিত করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।


চিফ অব নেভাল স্টাফ অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল নৌবাহিনীর সদরদপ্তর থেকে এবং চিফ অব এয়ার স্টাফ এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বিমান বাহিনীর সদরদপ্তর থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের পাশাপাশি আধুনিক ও সময়োপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে জাতির পিতা সময়োপযোগী প্রতিরক্ষা নীতি গ্রহণ করেন এবং তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানী সামরিক জান্তার দোসররা এবং যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশের বিজয় মেনে নিতে পারেনি, তারা বঙ্গবন্ধুর উদার নীতির মূল্যায়ণ করেনি।’
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যাযজ্ঞের পর স্বাধীনতা-বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রে ও কতিপয় উচ্চাকাক্সক্ষী ব্যক্তির কারণে দেশ ঘোর অন্ধকারে ঢেকে যায়।
তিনি বলেন, ‘তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শুধু রাষ্ট্রপতিকেই নয়, তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য এবং এই বছরই ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির পিতার নির্দেশনায় যুদ্ধকালীন সরকার গঠন করে এ দেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি জানিনা এই কলঙ্ক মুছে যাবে কিনা। এই সব হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়।’
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ১৯৭৫ সালের হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া বিজয়ের গৌরব হারিয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় করে এই বাহিনীকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে এনডিসি ওয়ার কলেজসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন এবং তিন বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় করেন।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, সশস্ত্র বাহিনীগুলো যেন সব দিক দিয়ে স্বক্ষম হয়, সে লক্ষে আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সেনা অভিযানের স্বক্ষমতা বাড়াতে আমরা আধুনিক হেলিকপ্টার ক্রয় করেছি।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, তাঁর সরকার প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীর জন্য আধুনিক ফ্রিগেট (রণপোত) ক্রয় করে। এছাড়াও ডুবোজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টার ক্রয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নৌবাহিনীকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীকে পরিণত করেছি।’
বিরাট সমুদ্রসীমা অর্জন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র সম্পদকে আহোরণ করার জন্য নৌবাহিনীকে সময়োপযোগী করতে গড়ে তুলতেই হবে।’
বিমান বাহিনীর উন্নয়নের ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারই প্রথমবারের মতো দেশের বিমান বাহিনীতে মিগ-২৯ জঙ্গি বিমান সংযুক্ত করেন। পাশাপাশি আমরা সর্বাধুনিক পরিবহণ বিমান, আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ক্রয় করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সবসময়ই প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণ অতিজরুরি।
তিনি আরো বলেন, ‘বিমান বাহিনীর সদস্যদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য আমরা বৈমানিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি তাদের যুদ্ধ সরঞ্জামাদি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার আর্মি আইটি সাপোর্ট অর্গানাইজেশন এবং কম্পিউটার ওয়ার গেমস সেন্টার স্থাপন করেছে। আমরা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সব ধরনের আধুনিক উপকরণের ব্যবস্থা করেছি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সব ধরনের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই না যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কোন বিভাগ পিছিয়ে থাকুক। আমরা চাই আমাদের এই বাহিনীর প্রতিটি বিভাগ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানে সমৃদ্ধ হোক। আর এ লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’সূত্র: বাসস





চরফ্যাশনে মেছো বিড়াল উদ্ধার

চরফ্যাশনে মেছো বিড়াল উদ্ধার

উপকূলীয় বেড়ি বাঁধ গভীর রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে ইউএনও মিথি

উপকূলীয় বেড়ি বাঁধ গভীর রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে ইউএনও মিথি

লড়াই করে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি : ভোলায় সারজিস আলম

লড়াই করে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি : ভোলায় সারজিস আলম

আমরা একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়বো : সারজিস আলম

আমরা একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়বো : সারজিস আলম

লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলা থেকে শর্টগান উদ্ধার

লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলা থেকে শর্টগান উদ্ধার

দৌলতখানে ছাত্রদলের মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক র‍্যালি ও আলোচনা সভা

দৌলতখানে ছাত্রদলের মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক র‍্যালি ও আলোচনা সভা

ভোলায় বাবা-ছেলের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘটনা আড়াল করতে নিজ ঘরে আগুন দিলেন প্রতিপক্ষ

ভোলায় বাবা-ছেলের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘটনা আড়াল করতে নিজ ঘরে আগুন দিলেন প্রতিপক্ষ

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

কাতারের আমিরের প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

কাতারের আমিরের প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

ক্রীড়াঙ্গনে অরাজনৈতিক ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল

ক্রীড়াঙ্গনে অরাজনৈতিক ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল

আরও...