অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত: নায়েবে আামির


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ০৯:৩২

remove_red_eye

৫০

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‌‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সবাই এরসঙ্গে একমত। আমরাও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু তার আগে কিছু বিষয় আছে গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোকে সমাধান করা দরকার। যেমন-জুলাই সনদ, এটির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন না হলে সেখানে একমত হওয়ার কোনো বাস্তবতা নেই।’

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে নির্বাচনের বিষয়ে তিনি যা বলেছেন সেটার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ আমরা দেখছি না। কিন্তু উনি তো বিস্তারিত কথা বলেননি।’

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা যে ভাষণ দিয়েছেন তা খুবই চমৎকার। আমি মনে করি বক্তৃতা প্রতিযোগিতার রেজাল্ট হলে তিনি নিঃসন্দেহে এক ধরনের গোল্ডমেডেল পেতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চমৎকার বা ব্যতিক্রম হচ্ছে প্রথমবার কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর স্টেকহোল্ডার যারা তাদেরকে সফরসঙ্গী করা। আমি তার এই ব্যতিক্রম উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছি।’

পিআর প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা দুই কক্ষেই পিআর চাচ্ছি। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ৩১টি দল ছিলাম। এর মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে। কিন্তু কিছু পার্থক্য ছিল, কেউ উচ্চ কক্ষে পিআরের পক্ষে আবার কেউ উচ্চ ও নিম্ন দুই কক্ষেই পিআরের পক্ষে। কিন্তু পিআর চায় ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল। সেজন্য আমরা পিআর চাচ্ছি।’

পিআর শেষ পর্যন্ত না হলে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইফ, বাট—এগুলো রাজনীতিতে নাই। আমরা আমাদের দাবি করছি। আশা করি সরকার এটি মানবে, যেহেতু এটা জনগণের দরকার। এবং আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেবো।’

এসময় জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক উপস্থিত ছিলেন।