অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


বিএনপিকে ভাঙার নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়েছে: মির্জা ফখরুল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫

remove_red_eye

৫৫

বিএনপিকে নিয়ে এখনো নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৬ বছরে বিএনপিকে ভাঙার নানান ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।

আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

জেলা বিএনপির সম্মেলনে উপলক্ষে সকাল থেকে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাগম ঘটে হাজারো নেতাকর্মীর। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে তারা যোগ দেন সম্মেলনে।

 
 

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সেই দল, যে উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমরা লড়াই করে সংগ্রাম করে এই পর্যায়ে এসেছি। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। এটা আমাদের গর্ব। শহীদ জিয়া সেই ব্যক্তি যিনি স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য আলাদা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন।’

 

বিএনপিকে ভাঙার নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়েছে: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একাত্তরে স্বাধীনতার ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল আজ বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে। কিন্তু বিএনপি হলো ফিনিক্স পাখির মতো দলকে ভাঙার নানান ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু কোনোটি সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।

 

সম্মেলন শুরুর আগে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, প্রধান বক্তা ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল।

অতিথি ছিলেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাঈল মিয়া, আমিনুল ইসলাম আশফাক প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোট দেবেন দুই হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর। এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।