অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


অধিকাংশ দল একমত হলেও কূলকিনারা হচ্ছে না কেন, বুঝতেছি না: নুর


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ই জুলাই ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৩০

remove_red_eye

৮৮

সংসদ-সংবিধান ইস্যু

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের গঠন প্রক্রিয়া ও সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে অধিকাংশ দল একমত হলেও কোনো কূলকিনারা কেন হচ্ছে না সেটি বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ১৪তম দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জাতীয় সংসদের এলইডি হলের বাইরেও আজকে তৃতীয় দিনের মতো আলোচনা হয়েছে। তারপরও আসলে কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। কেন পাওয়া যাচ্ছে না এটা আমরা বুঝতেছি না। মোটামুটি সব দলই কিন্তু একমত যে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ তারা চায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপিও ২০১৭ সাল থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বলছে।

একটি ইস্যু নিয়ে বারবার আলোচনার ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক দলেরই কাছাকাছি মত। অর্থাৎ, উচ্চকক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। নিম্নকক্ষ বিদ্যমান পদ্ধতিতে থাকবে। এখানে অনেক দল মোটামুটি একমত।

‘কিন্তু তিনবার এটি নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আলোচনা হয়েছে। একটা ইস্যু নিয়ে যদি এতবার আলোচনার পরেও উপসংহারে না আসা যায়, তাহলে কিন্তু আলোচনায় অনেকের ধৈর্য বা আগ্রহ থাকে না।’

সংবিধানে সংশোধনী নিয়েও অনেক দলের মতামত কাছাকাছি উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হয় তাহলে নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনের পাশাপাশি উচ্চকক্ষেও দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনের প্রয়োজন। কিন্তু এটি কোনো দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংশোধন করা উচিত নয়। যদিও আমরা দেখেছি, এ পর্যন্ত যে ১৭ বার সংশোধনী আনা হয়েছে তার বেশিরভাগই করা হয়েছে ব্যক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য কিংবা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য।

নুর বলেন, এজন্য আমাদের দলের থেকে প্রস্তাব ছিল, সংবিধান সংশোধন একটি জাতীয় ইস্যু, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি। সুতরাং, এখানে হাত দিতে গেলে অধিকাংশ অংশীজনের মতামত নিয়েই করা উচিত। এ বিষয়েও অনেক দল একমত, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না।