অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


মিটফোর্ডের ঘটনায় বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই জুলাই ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫

remove_red_eye

১৬০

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, মিটফোর্ড এলাকায় পাথর মেরে মানুষ হত্যার ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা করছে।

শনিবার (১২ জুলাই) মহানগর উত্তরের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

রিজভী প্রশ্ন তোলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কোথায়? মিটফোর্ডের ঘটনায় বিএনপি বা এর অঙ্গ সংগঠনের নামে যাদের নাম এসেছে, তাদের এরই মধ্যে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার এবং এ ধরনের একটি বিশাল সংগঠনে দু-একজন দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পড়তে পারে, যার খোঁজ রাখা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে। তবে, চিহ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কুণ্ঠাবোধ করেনি।

রিজভী আরও বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজে বা দলের মধ্যে কোনো দুষ্কৃতকারী বা সন্ত্রাসী থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এভাবেই বিএনপিকে গড়ে তুলেছিলেন অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে, তাকে গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করা হতো। এটাই ছিল জিয়াউর রহমানের আইনের শাসন।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দল থেকে বলা হচ্ছে ওরা (বহিষ্কৃতরা) সন্ত্রাস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি নিশ্চুপ থাকেন তাহলে তো সমাজের মধ্যে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা নৈরাজ্য তৈরি হবে। আরও বেশি সন্ত্রাস তৈরি হবে।

রিজভী স্পষ্ট করেন বলেন, সন্ত্রাসীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই; তারা নিজেদের স্বার্থে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি বা চুরি করে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো ধরনের অপকর্ম, সংঘাত, রক্ত ঝরানো, মানুষ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, এদের বিএনপিতে কোনো ঠাঁই নেই।

তিনি অভিযোগ করেন, দুই একটি রাজনৈতিক দল মিছিল করে নিজেদের ফায়দা লুটতে চাচ্ছে এবং বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তাতে কোনো লাভ হবে না। বিএনপি সেই রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি হচ্ছে মানুষ যাতে শান্তিতে থাকে সেই নিশ্চয়তা দেয়ার দল।

নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে রিজভী বলেন, অপরাধী কেউ যেন দলের মধ্যে ঢুকে মাথাচাড়া দিতে না পারে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, এখানে ঢাকার পুলিশ কমিশনার কী করে? নাকি আপনারা চাচ্ছেন, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকুক আর দায়গুলো চাপা হবে বিএনপির ঘাড়ে।