অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ২৮ জেলে আটক


ইসতিয়াক আহমেদ

প্রকাশিত: ১৯শে অক্টোবর ২০২৪ রাত ০৯:১০

remove_red_eye

১৫৯

       ১৩ জনকে কারাদণ্ড ১১ জনের জরিমানা

ইসতিয়াক আহমেদ : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ করায় ভোলার ৩ উপজেলায় ২৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে। মৎস্য বিভাগ জানায় শুক্রবার রাতে ভোলা সদর উপজেলায় ১১ জন, লালমোহনে  ০৭ জন এবং চরফ্যাশনে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। এদেও মধ্যে ১৩ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে ও ১১ জনের বিভিন্ন অংকের জরিমানা প্রদান করাে হয়েছে। এসময় মাছধরা নৌকা,জাল ও মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
মৎস বিভাগ আরো জানায়, ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ৪ টি টীমের অভিযানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ করায় ১১ জন জেলেকে আটক করা হয়। তেঁতুলিয়া নদীতে চারজন এবং মেঘনা নদীতে সাতজন আটক হয়। এ সময়ে তেঁতুলিয়া নদী থেকে ২ টি নৌকা, ১ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এবং ৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান এর মোবাইল কোর্টে ৩ জনকে ১৫ দিন করে জেল এবং ১  জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে হয়। জব্দকৃত ২ টি নৌকা ৪৭ হাজার ৬ শত টাকায় নিলাম করা হয়, জব্দকৃত জাল বিধিমোতাবেক বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।


অপর দিকে সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে আটককৃত সাতজন অসাধু জেলেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল-এর মোবাইল কোর্টে ১ জন মুসলেকা, ১ জনের ২ হাজার টাকা জরিমানা, ৪ জনের ১৫ দিন জেল, ১ জনের ৭ দিনের জেল প্রদান করা হয়। ৫ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এবং ২০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। সাতজন অসাধু জেলেকে অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে আটক করা হয়। ৭ জন আসামির ৫ হাজার করে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


চরফ্যাসন উপজেলায় ১০ জন আটক করা হয়চে। আটকৃত ৫ জনের জেল, ৩ জনের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় ৬৫০০ মিটার জাল ৬৪ কেজি মাছ আটক করা হয়। জাল পুড়িয়ে বিনস্ট করা হয়, মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।