অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে পচা পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী-ব্যবসায়ীরা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ০৯:৩৮

remove_red_eye

১৯২

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার লালমোহন পৌর এলাকার সড়কের পাশে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে জমে থাকা পচা পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পথচারীরা। ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদেরও একই অবস্থা। গত এক মাস ধরে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। তবে লালমোহন পৌর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়কের উন্নয়ন কাজের কারণে লালমোহনের বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে পানি অপসারণ বন্ধ হয়ে জমাট বেধে রয়েছে। আর জমাট বাধা পানি পচে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে লালমোহন পৌর শহরের ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়কের চৌরাস্তা মোড় থেকে উপজেলা ভ‚মি অফিস পর্যন্ত রাস্তায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সড়কের পাশে থাকা ব্যাংক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি, খাবার হোটেল, বেকারিসহ প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানে আসা সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতারা দুর্গন্ধে বিপাকে পড়েন।
পথচারী মো. হানিফ, মো. ইউসুফ ও নাজমা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, লালমোহন বাজারের সড়কের উন্নয়ন কাজের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকায় পানি পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চৌরাস্তা মোড় থেকে উপজেলা ভ‚মি অফিস পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে।
মুন স্টার ফার্মেসির মালিক নীরব দে, মিতু বেকারি মালিক মো. মজিবুর রহমান ও মুসলিম হোটেলের মালিক মো. হাসান মিয়া জানান, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা খুবই কষ্টকর।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, পচা পানিতে প্রচুর পরিমাণ মশা-মাছির সৃষ্টি হয়েছে। তাই মশার কামড়ের কারণে প্রতিষ্ঠানে বসে বেচা-বিক্রি করা মুশকিল। লালমোহন পৌরসভা পানি নিষ্কাশন ও মশা নিধনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা এই বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. আরিফ হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। দ্রæত সময়ের মধ্যে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশন ও মশা নিধনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।