অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


১৮ দিন পর মৃত্যু হলো গুলিবিদ্ধ হাসানের


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪শে আগস্ট ২০২৪ রাত ০৮:২৩

remove_red_eye

১৭৪

লালমোহন প্রতিনিধি : ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১৮ দিন পর মারা গেলেন ভোলার লালমোহনের মো. হাসান। যাত্রাবাড়িতে তরকারির আড়তের শ্রমিক হাসান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বসে থাকতে পারেনি। অংশ নেয় বিক্ষোভে। দুপুরের পরে পুলিশের এলোপাথারি গুলিতে হাসানের পিঠ, কাঁধ বিদ্ধ হয়। ৭টি গুলি লাগে তার গায়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৮ দিন চিকিৎসা শেষে ২৩ আগস্ট শুক্রবার রাত ১১টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে হাসান।

লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার শেকান্তর মেম্বার বাড়ির দিনমজুর মো. কবিরের বড় ছেলে হাসান। হাসানের বাবা জানান, যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে হাসানের স্ত্রী এবং ২ সন্তান নিয়ে বসবাস করতো। তাদের সাথে তিনি ও ছোট ছেলেও থাকতেন। বাবা ছেলে মিলে বিভিন্ন শ্রমের কাজ করে সংসার চালাতো। হাসানের স্ত্রী বিবি মালা ২ সন্তান নিয়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। তার বড় ছেলে হাবিবের বয়স পাঁচ বছর। ছোট ছেলে হাসিবের বয়স আড়াই বছর। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় একদিকে মালার আহাজারি অন্যদিকে ছেলেকে হারিয়ে হাসানের পিতা- মাতার আর্তনাদ চলছে।
এদিকে লালমোহন উপজেলায় এনিয়ে আন্দোলনে শহিদের সংখ্যা ১১ জন। এদের বেশিরভাগই শ্রমিক। আগের ১০ শহিদ পরিবারকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।