অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় অতি জোয়ারে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩শে আগস্ট ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৫১

remove_red_eye

২১১

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : এখনও স্বাভাবিক হয়নি ভোলার উপকূলের বন্যা পরিস্থিতি। টানা নবম দিনের মতো জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ।

পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।  

 

রাস্তাঘাট, বসত ঘরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে উপকূলজুড়ে। এ ছাড়া খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে মেঘনার পানি দৌলতখান পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার এবং তজুমদ্দিন পয়েন্ট দিয়ে ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়সের সাত গ্রামসহ কাচিয়া, মাঝের চর, ধনিয়া, মদনপুর, মেদিয়া, চর পাতিলা ও ঢালচর সহ অন্তত ২০ গ্রামে প্রবেশ করেছে মেঘনার জোয়ারের পানি।  

পানিবন্দি আকলিমা, সিরাজ, তাহমিনা ও রাজিয়াসহ অন্যরা জানান, নয়দিন ধরে জোয়ারে পানির কষ্টে ভুগছেন তারা। তবে কেউ ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। দুই দফা জোয়ার এসে তলিয়ে গেছে ঘর ভিটা। । রান্নার চুলা জ্বলছে না অনেকের ঘরে। বাঁধ না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, আমরা বিষয়টি মনিটরিং করছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। তবে স্থায়ী বন্যার সৃষ্টি হলে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে মেডিকেল টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী  হাসান মাহমুদ বলেন, যে পরিস্তিতি বিরাজ করছে, তাতে বন্যার সম্ভাবনা নেই। পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।