বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ১৫৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উত্তর কন্দ্রকপুর মিজান খাঁন বাড়ির দরজার জামে মসজিদ সংলগ্ন সরু খালের উপর একটি ছোট ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই খালের উপর ব্রীজ না থাকায় সাঁকো দিয়ে পারাপার করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বছরের পর বছর ধরে সহস্রাধিক মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শিশু শিক্ষার্থীদের নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পার করে দিচ্ছেন মায়ে রা। আবার কোন মা দাড়িয়ে আছেন তার সন্তান কে পার করে নেয়ার অপেক্ষায়। এসব শিক্ষার্থীদের মায়েরা আকুতি জানালেন র্দীঘ বছর ধরে আমরা বাচ্চাদের শিক্ষালয়ে পাঠাতে ও ছুটি হলে বাড়ি নিতে এখানেই অপেক্ষা করতে হয়। কারন উল্লেখ্য করে মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়ার মা খুকুমণি বলেন এই সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে ও মাদ্রাসা থেকে আসতে বিগত বছরে বেশ কজন শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সন্তানদের সাঁকো পার করে দিয়ে যাই আবার এসে নিয়ে যেতে হয়।
জানাযায়,বছরের সুকনা মৌসুমে কৃষি পন্য পরিবহনের জন্য কৃষকরা আর স্থানীয় বাসীন্দাদের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয় সাঁকোটি। বর্ষায় পানির তোড়ে সাঁকোটি ভেঙ্গে ঘটে করুন পরিনতি।
মিজান খান বাড়ির দরজার জামে মসজিদের সেক্রেটারি মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, মেঘনা নদীতে ইউনিয়নটির রামদাস গ্রামটি বিলীন হলে সেই গ্রামের একটি পুরানো পাটা ব্রিজ ২০১৮ সালে ১৫৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরহুম মাজহারুল ইসলাম জসিমের সহায়তায় এখানে এনে পুনঃনির্মাণ করা হয়। মাজ হারুল ইসলাম জসিম অনাকাঙ্ক্ষিত এক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যু বরণ করার পরে কেউ তেমন খোঁজ রাখেনি এই এলাকাটির।
মসজিদের সভাপতি জেহানআলী বেপারী একই কথা বলে জানান, আমরা মসজিদে আসতে যেতে ঝুঁকি পোহাতে হচ্ছে, ছাত্র ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করে, আমাদের দাবি এখানে ব্রিজ করে দিলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবো। শিক্ষার্থীদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
১৫৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুল এসেম বলেন আমি এই বিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করেছি, আমি যোগদান করার পরে দেখেছি এই ঝুঁকি পূর্ণ সাঁকো পার হয়ে আমার স্কুলে প্রায় ৮০/৯০ জন শিক্ষার্থী আসা যাওয়া করে। এই জনবসতি পূর্ণ এলাকাটির পাশেই চরাঞ্চল যেখানে সিজনাল তরকারি সহ সহ ভিবিন্ন কৃষিপন্য উৎপাদন হয়, কৃষকরা দেশের সোনার মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন তাদের জীবনের ঝুঁকি এড়াতে ও কৃষি পন্য পরিবহন সুগম ও সহজর করতে এখানকার ব্রিজটি নির্মান করা হলে জনগুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করা হবে। একটি ব্রিজ নির্মানে ভোগান্তি কাটিয়ে উপকৃত হবে এলাকাবাসী।
ভোলা এলজিইডি প্রকৌশলী আঃ রাজ্জাক বলেন ,সদর উপজেলার বেশ কটি ব্রিজ কালভাটের জন্য প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে বরাদ্ধ আসলে জনগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নির্মানের প্রাদান্য দেয়া হবে ।