অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


কারো বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে দলীয় নেতাকর্মীদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না : আসিফ আলতাফ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ই আগস্ট ২০২৪ বিকাল ০৩:৫৯

remove_red_eye

২৩৬

মোঃ ইসমাইল : ভোলায় রাজনৈতিক বিরোধ বা অন্য কোনো বিরোধের কারনে কারো উপর হামলা বা বাড়ি-ঘর, ব্যবস প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের হুশিয়ারি করে দিয়েছেন ভোলা জেলা বিএনপি। গত কয় দিন ধরে ভোলায় কিছু কিছু যায়গা থেকে এ ধরনের সংবাদ আসলে বুধবার বিকেল থেকে শহরে এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়।  কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।
এছাড়াও বুধবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যা৬টার দিকে ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ সদর রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অবিনাস নন্দিকে ডেকে এনে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বন্ধ থাকা দোকান খুলে দেন। এ সময় আসিফ আলতাফ সকল ধর্ম ও দলের ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করার কথা বলেন। কেউ কোনো চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে আসলে সাথে সাথে তাকে ফোন দিতে বলেন।
গত রবিবারের ভোলায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ভোলা শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পরের দিন অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও হামলার আশঙ্কা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দুই-চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার বিকেলের দিকে সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার দোকান খুলে দেন। এসময় তিনি কোনো প্রকার শঙ্কা ছাড়াই ব্যবসায়ীদেরকে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে বলেন ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দিন ভোলায় এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির প বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. মোশারেফ শাজাহানের ছেলে ও সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ তাদেরকে অভয় দেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদেরকে এদেরকে দেখে রাখার কঠোর নির্দেশনা দেন। এছাড়াও যে সকল যায়গা থেকে হামলা ও ভাঙচুরের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সকলকে সতর্ক করে দেন।
এছাড়াও বুধবার দুপুরের পর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ভোলা শহর ও আশপাশের এরিয়ায় মাইকিং করে দলীয় নেতাকর্মীসহ সকলকে সতর্ক করা হয়। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে কারো বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ কোনো কিছু ভাঙচুর করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন ৮-১০জন নেতাকর্মীদের নিয়ে হ্যান্ডমাইকে পাড়া-মহল্লায় প্রচার করেন ।