অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে দাফনের নয়দিন পর পরিবারের দাবী প্রতিবেশির মারপিটে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে জুলাই ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৭

remove_red_eye

১৫৭

লালমোহন প্রতিনিধি : একদিন আগে প্রতিবেশির সাথে জমি নিয়ে মারামারি। পরদিন রাতে বুকের ব্যথা নিয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে মৃত্যবরণ করেন বৃদ্ধ আবদুল আলী। মারামারির সময় প্রতিবেশি ইলিয়াছ বুকে আঘাত করেন এমন গুঞ্জন থাকলেও মৃত্যুর পর বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছেলেরা কোন অভিযোগ না করে দাফনও করেন। কিন্তু ঘটনার নয়দিন পর শুক্রবার বৃদ্ধ আব্দুল আলীর স্ত্রী ছায়েদা খাতুন, ছেলে ফারুক, হারুন ও শাহাবুদ্দিন জানালেন ভিন্ন কথা। লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ এলাকার হিম্মত আলী বাড়ির আব্দুল আলী গত ১৭ জুলাই বুধবার রাতে মারা যান।
পরিবারের দাবী, মৃত্যুর আগের দিন প্রতিবেশি ইলিয়াছসহ আরো ৩জন বাড়ির পাশের জমিতে আব্দুল আলীর বুকে আঘাত করেন। ওই সময় বাবার উপর হামলার খবর শুনে মেঝ ছেলে হারুন ঘটনাস্থলে যান। তাকে দুজনে আটকে ধরে ইলিয়াছ তার বাবার বুকে ছুড়ির বাট দিয়ে আঘাত করেন। এর একদিন পর রাতে বাবার বুকে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ১ ঘন্টা পরই রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুল আলীর স্ত্রী ছায়েদা খাতুন জানান, তার স্বামীর মৃত্যু হওয়ার পর পোস্টমর্টেম করলে লাশ কাটা ছিঁড়া করবে একারণে কোন অভিযোগ করতে দেননি ছেলেদের। এছাড়া ইলিয়াছ এসে তার পায়ে পরে অনুরোধ করেছিল, যেই জমি নিয়ে বিরোধ সেই জমি তারা দিয়ে দিবে। কোন অভিযোগ যেন না করে। এসব কারণে মৃত্যুর পর থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। বড় ছেলে ফারুক জানান, ঘটনার সময় তিনি চট্টগ্রাম ছিলেন। যার কারণে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। কিন্তু এখন সব ছেলেরা মামলা দিতে প্রস্তুত। থানায় মামলা না নিলে প্রয়োজনে আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান ৩ ছেলেই।       
এদিকে অভিযুক্ত ইলিয়াস জানান, আব্দুল আলী তার চাচা হয়। চাচাকে তিনি কোন আঘাতই করেননি। তিনি জমিতে গরুর খামার করতে গেলে চাচা আব্দুল আলী বাধা দেন। থানা থেকে পুলিশও নেন। পরে জমি মাপার তারিখ হয়। এই পর্যন্তই।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাহ্বুব-উল-আলম জানান, আব্দুল আলীর পরিবার থেকে সেসময় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।