অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে আবাসিক এলাকায় চামড়া মজুত, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই জুলাই ২০২৪ রাত ০৮:৫৩

remove_red_eye

১৭৫

                     প্রতিবাদেও মিলছে না প্রতিকার

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলায় আবাসিক এলাকায় চামড়া মজুত করেছেন সেলিম সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ানিগ্রামের সাফিয়া খানম মাদরাসা সংলগ্ন আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চামড়া মজুত করে রেখেছেন। চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দাসহ মসজিদের মুসল্লিরা। দুর্গন্ধে মসজিদের মুসল্লিদের নামাজেও সমস্যা হচ্ছে। এই দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ মসজিদের মুসল্লিরা লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবুও চামড়ার দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা মেলেনি ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয় মসজিদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, এখানে সেলিম সওদাগর পশুর চামড়া এনে মজুত করে রেখেছেন। ওই চামড়া আবার মসজিদের পুকুরের ঘাটলায় নিয়ে পরিষ্কার করেন। এই চামড়ার দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা এখন কষ্টের হয়ে গেছে। মসজিদের ফ্যানও চালানো যায় না। ফ্যান চালু করলে দুর্গন্ধ বেড়ে যায়। এতে করে ঠিকমতো মসজিদে অবস্থানও করা যায় না। ওই চামড়া মজুতকারী সেলিম সওদাগরকে একাধিকবার এখান থেকে চামড়ার ঘরটি সরানোর জন্য বলা হয়েছে। তবে তিনি কারও কথাই শুনছেন না। এমন অবস্থায় এই এলাকা থেকে চামড়ার গোডাউনটি সরাতে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, চামড়ার দুর্গন্ধে ঘরেই থাকা যাচ্ছে না। শিশুদের নিয়ে থাকতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা বহুবার চামড়ার মালিককে এখান থেকে চামড়াগুলো সরিয়ে নিতে বলেছি। তবুও তিনি নেই-নিচ্ছি বলে কেবল দিন পার করছেন। তাই এখন আমাদের ভরসা প্রশাসন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইলো দ্রæত সময়ের মধ্যে চামড়াগুলো এখান থেকে সরিয়ে নিতে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
লালমোহন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান মাসুম বলেন, চামড়ার দুর্গন্ধে স্থানীয় মানুষজন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। স্থানীয়দের এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ওই চামড়ার মালিককে একাধিকবার সতর্ক করেছি। তবুও তিনি চামড়া সরাননি।
আবাসিক এলাকায় চামড়া মজুতের বিষয়ে ব্যবসায়ী মো. সেলিম সওদাগর বলেন, ওই স্থান থেকে চামড়ার গোডাউনটি শিগগিরই সরিয়ে নেবো। এজন্য এরইমধ্যে বিভিন্নস্থানে ঘরের খোঁজ নিচ্ছি। ঘর পেলেই দ্রæত সময়ের মধ্যে চামড়ার গোডাউনটি সরিয়ে নেবো।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আবাসিক এলাকায় একটি চামড়া মজুত করায় এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় লোকজন আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। শিগগিরই এলাকাবাসী এবং ওই চামড়ার মালিককে ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।