অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


বর্ষা মৌসুমেও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের সংকট জেলেরা চরম বিপাকে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ই জুলাই ২০২৪ রাত ০৮:০০

remove_red_eye

১৯৬

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে বর্ষা মৌসুমেও জেলেদের জালে দেখা মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ । এতে করে চরম হতাশা নিয়ে নদী থেকে ফিরছে জেলেরা। যার ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছে তারা।  তার উপর ঋণের কিস্তির পরিশোধের চাপে দিশেহারা  জেলেরা।   তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, নদীতে পানির পরিমান আরও একটু বৃদ্ধি পেলে দেখা মিলবে কাঙ্খিত ইলিশের।
স্থানীয়রা জানান,দ্বীপ জেলা ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর রূপালী সুস্বাধু ইলিশ মাছের খ্যাতি অনেক পুরনো। দেশের প্রায় ৩০ ভাগ ইলিশ আহরণ হয় ভোলা থেকে। কিন্তু এ বছর আষাঢ় শেষ হতে চললেও  নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা নেই। প্রতিদিন মেঘনা তেঁতুলিয়ার বুকে হাজার হাজার জেলে জাল ফেলে কাঙ্খীত ইলিশ ছাড়াই ফিরতে হচ্ছে তীরে। গুটি কয়েক যে মাছ ধরা পড়ছে তা দিয়ে ট্রলারে ইঞ্জিনের জ্বালানী তেলের দামসহ অন্যন্য খরচও ঠিক মতো ওঠে না।  তাই জেলেদের চোখে মুখে এখন দুশ্চিন্তা আর হতাশা । নদীতে মাছ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে জেলেরা চরম বিপাকে রয়েছে। কি ভাবে তারা ঋণের টাকা শোধ করবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে ভোলার  ২ লাখেরও বেশি জেলে । জেলেরা জানান, ধার দেনা করে ইলিশ মাছ পাওয়ার আশায় তারা নদীতে গেলেও তাদের খরচের টাকা উঠছে না। এ অবস্থায় তাদের এনজিও ও মহাজনের ঋণের বোঝা বাড়ছে। এ পেশা ছেড়ে দেয়ার কথাও বলেন কেউ কেউ।
সরেজমিনে,ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা ,তুলাতুলি মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আড়ৎদারদের মাছের বাক্সগুলো  খাঁ খাঁ করছে। দু’এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আনা হলেও আগের মতো নেই হাকডাক। জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় ঘাটের এখন এমন প্রায় একই অবস্থা। জেলেদের পাশপাশি আড়ৎদাররাও রয়েছে বিপাকে। মৎস্য আড়ৎদাররা জানান, জেলেসহ তারাও বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন। নদীতে ইলিশের সংকট থাকায় তারাও দেনায় জড়িয়ে পড়ছেন।
এদিকে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, গত বছর ভোলায় ইলিশ আহরণ হয়ে ছিলো ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের ও অধিক। আর এ বছর ইলিশ আহরনের লক্ষমাত্রা ১ লক্ষ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারন করা হয়েছে । সরকারি হিসাবে জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজারের ও অধিক । এদিকে গুটি কয়েক ইলিশা পাওয়া গেলেও দাম মধ্যবৃত্তের নাগালের বাইরে। এক হালি এক কেজি ওজনের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা দরে।
 ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব সাংবাদিকদের জানান, ইলিশের মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কিন্তু এখনো কাঙ্খিত যে ¯্রােত ধারা মিষ্টি পানি এখনো আসছে না। মেঘনা নদীতে অনেক ডুবোচর থাকার কারনে ইলিশ নদীতে কম পাওয়া যাচ্ছে। তার পরও গত কয়েক দিন আমাবষ্যও জোতে ইলিশ ভালো ধরা মাছ পড়ছে। আশা করা হচ্ছে নদীতে পানির পরিমান আরও একটু বাড়লে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলবে ।