অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ১৬ হাজার গবাদিপশু পাখির মৃত্যু


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১লা জুন ২০২৪ রাত ১১:৪১

remove_red_eye

২৫৩

          আক্রান্ত ৬৪ হাজার ৮৬৭

হাসিব রহমান/ মোঃ ইসমাইল : ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে উপক‚লী দ্বীপ জেলা ভোলায় গবাদিপশু ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভোলায জেলায় ৬৪ হাজার ৮৬৭ টি গবাদিপশু ও পাখি আক্রান্ত হয়েছে। ১৬ হাজার ১৫০ টি পশু ও পাখির মৃত্যু হয়েছে। অসংখ্য গবাদিপশু হারিয়ে খামারি ও কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অপূরণীয় ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নিবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। টাকার অংকে সরকারি হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৭ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮ হাজার ৪৫০ টাকা। এদিকে গবাদিপশুর ব্যাপার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান,নদী ও সাগর বেষ্টিত উপক‚লীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চার দিকে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় চরাঞ্চল। এসব কয়েক লাখ লোক গবাদিপশু লালন পালন করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিন আগে ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ঐসব চরে ৮/১০ ফুট উচ্চতার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় ওই সব চর। এতে করে চরে থাকা অসংখ্য গবাদিপশু ও হাঁস মুরগি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে অনেক মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শত শত কৃষক ও খামারি।
জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ভোলায় ঘুর্ণিঝড়ে  ২ হাজার ১৪১ একর জমির চারন ভ‚মি প্লাবিত হয়েছে। এতে করে জেলার ৭২ টি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৯৩৪ টি গরু আক্রান্ত হয়েছে, মহিষ আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৮০ টি, ছাগল আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬৬৫ টি, ভেড়া আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৬৬ টি, মুরগী আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৩১ টি, হাসঁ আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ২০০ টি।
এছাড়াও গরু মারা গেছে ১৮৪ টি, মহিষ মারা গেছে ২৮১ টি, ছাগল মারা গেছে ১৫২ টি, ভেড়া মারা গেছে ২৮১ টি, মুরগী মারা গেছে ৯ হাজার ৮৯০ টি ও হাসঁ মারা গেছে ৫ হাজার ৩২২ টি।
এদিকে কৃষকরা জানান, ভোলার চরাঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল কিল্লা রয়েছে। পর্যাপ্ত মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হলে ঝড় ও জলোচ্ছাসসহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ভোলার চরাঞ্চলের গবাদি পশু ও রক্ষা পেতো।  
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সহায়তা আসলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতারণ করা হবে ।