অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১৫ হাজার ৫টি গবাদি পশু


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১লা জুন ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:২০

remove_red_eye

৩৪৯

লালমোহন প্রতিনিধি : ঘনিয়ে আসছে ঈদুল আযহা। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে এ বছরের ঈদুল আযহায় ভোলার লালমোহন উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের ১৫ হাজার ৫টি গবাদি পশু কোরবানির সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- গরু ১১ হাজার ১১০টি, মহিষ ৬৭১টি, ছাগল ২ হাজার ৬৫৩টি  এবং ভেড়া ৫৭১টি। এসব গবাদি পশুর গড় বাজার মূল্য ৮১ কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
এদিকে, দিন যত পার হচ্ছে, ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন লালমোহন উপজেলার পশু খামারিরা। নিজেদের লালন-পালন করা পোষা গবাদি পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যার মধ্যে রয়েছে দেশী-বিদেশী জাতের বিভিন্ন প্রজাতির পশু। ইতোমধ্যে অনেক খামারি নিজেদের গবাদি পশু বিক্রির জন্য বাজারে তোলা শুরু করেছেন। ঘাঁস-খড়-ভূষি এবং দানাদার খাদ্য খাইয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এসব গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে দাবি খামারিদের।
এমনই এক খামারি উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিগঞ্জ এলাকার হাসেম মাস্টার সড়কের বাসিন্দা মো. বাহালুল কবীর খান। তার খামারে এ বছরের ঈদুল আযহার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে দেশী-বিদেশী জাতের মোট ১৪টি গরু। যারমধ্যে দেশী ৬টি এবং বিদেশী জাতের ৮টি গরু রয়েছে।
খামারি বাহালুল কবীর খান বলেন, কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য আমার খামারে প্রস্তুত করা গরুর মূল্য সর্বনি¤œ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত। এসব গরুকে খড়-ভূষি এবং দানাদার খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে খামারের গরুগুলোকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকার দেশী গরুর খামারি মো. ইলিয়াছ জানান, আমার মোট ১৩টি গরু রয়েছে। বাড়িতে এসব গরুর পরিচর্যা নিজেই করেছি। ইতোমধ্যেই বিক্রির লক্ষ্যে গরুগুলো বিভিন্ন হাটে তুলছি। ন্যায্য দাম পেলে গরুগুলো এ বছর বিক্রি করে দেবো।
উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের মো. হেলাল নামে আরেক দেশী গরুর খামারি বলেন, আমার মোট ১০টি দেশীয় জাতের গরু রয়েছে। যা এ বছরের কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুত করেছি। ভারতীয় গরু আমদানি না হলে, আশা করছি এ বছর গরুর ন্যায্য দাম পাবো। এতে করে মোটামোটি ভালো লাভবান হতে পারবো।
লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনির নামে এক মহিষ মালিক জানান, আমার সর্বমোট ১৯টি মহিষ রয়েছে। এ বছরের কোরবানিতে দুইটি মহিষ বিক্রি করবো। দেড় লাখ টাকা করে একেকটি মহিষের দাম চাচ্ছি। তবে ক্রেতাদের সঙ্গে দামে মিললে মহিষ দুইটি বিক্রি করে দেবো।
ওই ইউনিয়নেরই নাজিরপুর এলাকার শাহে আলম নামে এক ছাগল মালিক বলেন, দেশী জাতের আমার মোট পাঁচটি ছাগল রয়েছে। ইতোমধ্যেই ছাগলগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন বাজারে তুলছি। ন্যায্য দাম পেলে পাঁচটি ছাগলই এ বছরের কোরবানির জন্য বিক্রি করে দেবো।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. রইস উদ্দিন জানান, আমরা সারা বছরই খামারিদের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকছি। তবে কোরবানিকে সামনে রেখে কোনো খামারি যাতে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কৃত্রিমভাবে গবাদি পশুকে মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের তদারকি অব্যাহত রয়েছে।