অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ভোলায় ৮৬৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫শে মে ২০২৪ রাত ১০:৩৩

remove_red_eye

২৪৯

মো: ইসমাইল : ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় ৮৬৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত করা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠে কাজ করবে সিপিপির ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক। ইতো মধ্যেই গঠন করা হয়েছে ৯৮ টি মেডিকেল টিম । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৮ টি কন্ট্রোল রুম। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এতথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চর অঞ্চলে যেসব মানুষ আছে তাদেরকে ঠিকমতো আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা। আমাদেও সর্বতœক প্রচেষ্টা থাকবে মানুষের সাথে সাথে গবাদীপশুকে নিরাপদে নিয়ে আসতে হবে। এটিই মূলত হচ্ছে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। জানায়, জেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত করা হয়েছে ৮৬৯ টি। এরমধ্যে ভোলা সদরে ১৩৭ টি, বোরহানউদ্দিনে ১২২ টি, দৌলতখানে ১১২ টি, তজুমদ্দিনে ৭৬ টি, লালমোহন ১৯৮ টি, চরফ্যাশনে ১৬৫ টি ও মনপুরায় ৫৯টি। জেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৯৩ টি ইউনিটে ১৩ হাজার ৮৬০ জন। মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে ১৪ টি। যাতে ৫ হাজার ৩০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে ৯৮ টি ও ভেটেরিনারি ২১ টি। নগদ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ১১ লাখ ৩৩ হাজার পাঁচশত টাকা। চাল বরাদ্দ হয়েছে ২২২.০০০ মে: টন। ঢেউটিন বরাদ্দ হয়েছে ২১৪ বান্ডিল এবং গৃহনির্মাণ মুঞ্জুরি বরাদ্দ হয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। শুকনা খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে ২ হাজার ২ শত ২৩ পেকেট। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। এছাড়া চাল রয়েছে ২২২ টন, ঢেউটিন ২১৪ বান্ডিল, গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী বাবদ ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার ২ হাজার ২২৩ প্যাকেট। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত রয়েছে ৯৮ টি মেডিকেল টিম। ৯টি এম্বুলেন্সসহ পানি বিশুদ্ধকরণের বড়ি রয়েছে ২ হাজারেরও বেশি। জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ৮৬৯ টি সাইক্লোন সেল্টার এর পাশাপাশি ১৪ টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রয়েছে। যাতে ৫ হাজার ৩০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। এ সময় বক্তব্য রাখেন ভোলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কায়সার খসরু, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিশুল কবীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।