অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় এসএসসিতে পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে ১.৭৭ শতাংশ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ই মে ২০২৪ রাত ১০:৪১

remove_red_eye

৫৯৫

 

শতভাগ পাশ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে


ইসতিয়াক আহমেদ : ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ভোলা জেলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং শতভাগ পাশ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭ টি। ২০২৩ সালের ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা যায়, গত বছর ভোলা জেলায় পাশের হার ছিল ৯১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবছর পাসের হার কমেছে ১.৭৭ শতাংশ । এছাড়াও ভোলায় গতবছর শতভাগ পাশ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল ৪৩ টি। এ বছর ২৭ টি । যা গত বছরের তুলনায় ১৬ টি কম। পাশের দিক থেকে ছাত্রদেও চাইতে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড বরিশাল এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড বরিশালের অধীনে ভোলা জেলার ৭ উপজেলার ২৬ টি কেন্দ্রে ২১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ হাজার ৪৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১০ হাজার ৫১  জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ  ছাত্রী ৫ হাজার ৭শত ৭৭ জন এবং ছাত্র ৪ হাজার ২শত ৭৪ জন।

এছাড়াও বরিশাল বোর্ডের অধীনে ৬ জেলায় অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে ভোলা জেলা ৫ম অবস্থানে রয়েছে। পিরোজপুরে পাসের হার ৯০ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বরিশালে পাসের হার ৯০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ঝালকাঠিতে পাসের হার ৯০ দশমিক ৫২ শতাংশ, বরগুনায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, ভোলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং পটুয়াখালিতে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

রবিবার বেলা ১১টার পর সারাদেশে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সকাল সোয়া ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রæয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।