অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনের ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশির হানা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩রা মে ২০২৪ বিকাল ০৫:৫৩

remove_red_eye

২২২

আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব


লালমোহন প্রতিনিধি : তীব্র দাবদাহ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে ভোলার লালমোহন উপজেলার ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। উপজেলার অন্তত ৮০ শতাংশ পরিবারে বর্তমানে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এছাড়া এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই থেকে আড়াইশত রোগী সেবা নিচ্ছেন। গড়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন ২০ জনেরও অধিক রোগী। যার মধ্যে শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সের রোগীই রয়েছেন।
পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের কাছে আসা মোসা. আয়েশা বেগম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই আমার ছোট সন্তানটি জ্বরে ভুগছে। প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়াই। তবে তিন দিনেও জ্বর না কমায় হাসপাতালে এসেছি। এখানে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন ওষুধ নিয়েছি।
জাহিদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, চারদিকে কেবল জ্বর, সর্দি আর কাশিতে আক্রান্ত রোগীর কথা শুনছি। এমনকি আমার ঘরেরও সকলে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাদের ওষুধ খাওয়াচ্ছি। এই সময়ে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত রোগী এতো বেড়েছে যা কল্পনারও বাহিরে।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অতনু মজুমদার বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি গত এক মাস ধরে উপজেলার অধিকাংশ পরিবারেই জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন ও চলমান তাপপ্রবাহের কারণেই এমনটা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের লক্ষণ অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই। তাই আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। এছাড়া সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেসব ওষুধ সরবরাহ রয়েছে রোগীদেরকে তা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এমন অবস্থায় খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাহির না হওয়াই ভালো। এছাড়া প্রত্যেককে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কারও যদি জ্বর এবং শরীর ব্যথা দেখা দেয় তাহলে তাদের প্রাথমিক অবস্থায় কেবল প্যারাসিটামল খেতে হবে। এরপর  দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে যদি এসব জটিলতা না কমে তাহলে অবশ্যই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।