শফিক খাঁন: মেঘনায় ডাকাতি তান্তব চালিয়ে পালানোর সময় তারেক,সাব্বির, ও মনির নামে তিন জনকে আটক করেন জেলেরা।
আটকরা তিন ব্যাক্তি ভোলা সদর উপজেলার ২নং পুর্ব ইলিশার একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনা সুত্রে জানাযায় ২৮ এপ্রিল দিবাগত রাত অনুমান দুইটার দিকে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উজানিয়া ইউনিয়নের জাদুয়া গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ মাঝি তার দুই ছেলে সাইদুল ও জিহাদকে নিয়ে মৎ শিকারে গেলে রাতে তারা ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতদল সাইদুল কে তাদের নৌকায় তুলে নিয়ে গেলে বাবা খোরশেদ মাঝির চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী জেলে মানিক মাঝি ডাকাত দলকে ধাওযা করলে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেও পালাতে পারেননি ডাকাতরা।
মানিক মাঝি তার জেলেরা জেলে সাইদুলকে ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার পুর্বক তিন ডাকাতকে তাদের ডাকাতি করার ট্রলার ও একটি বাশের মাথায বাঁধা দাও সহ আটক করে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরের তিন নং ওয়ার্ডের ঘোল পারে নিয়ে আসেন।
আজ ২৯ এপ্রিল ভোর ৬ টার দিকে তিন ডাকাত সহ আটক ট্রলারটি উদ্ধারের পর নিখোঁজ বাবা খোরশেদ ও ছেলে জিহাদ কে মেঘনায় ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে একই স্থানের জেলে বাচ্চু মাঝি।
ডাকাত দলের সদস্য মনির হোসেন বলেন আমরা ৬ জনের একটি দল জাল চুরি করার উদ্দেশ্যে মেঘনায় গেলে সাইদুলদের নৌকা ধরলে তাদের চিৎকারে অন্য জেলেরা এগিয়ে আসতে শুরু করলে আমারা সাইদুল কে নিয়ে আমাদের ট্রলার চালাতে শুরু করি,
জোরেসোরে চালাতে শুরু করলে ইতিমধ্যে মানিক মাঝিরা আমাদের ঘিরে ফেলে। আমরা সারতে না পারায় আমাদের তিন সদস্য পালিয়ে যায় আমরা ধরা পরি।
জেলে সাইদুল জানান আমাদের নৌকায় উঠে ডাকাতরা আমাকে বেঁধে ওদের ট্রলারে তুলে নেন, এবং আমাকে বিকাশে এক লক্ষ টাকা আনতে বলে। আমার মোবাই পানিতে ফেলে দেয়ার কারনে তাদের মোবাইল দিয়ে আমার খালাত ভাই মাইদুলের 01747610872 এ কল দিয়ে এক লক্ষ টাকা দিতে বলি। পরে মানিক মাঝিরা ওদের ঘিরে ফেললে ডাকাতরা আমাকে পানিতে ফেলে দিয়ে দ্রুত পালাতে চেষ্টা করেন, মানিক আমাকে তারর নৌকায় তুললে আমি মানিক ওদের ধরার জন্য বললে মানিক মাঝিরা আমাকে সহ এক দেড় ঘন্টা তাড়া করে তিন ডাকাতকে আটক করতে পারলেও বাকী তিন জন পালিয়ে যায় ।
ডাকাতদের নং থেকে টাকা চেয়ে কল পাওয়া মাইদুল জানান রাত দুইটার পরে ০১৭২৯৮১৫৯১৬ নং থেকে একটি কল করে জানিয়েছেন তাদের কাছে আমার খালাত ভাই সাইদুল আটক আছে ১ লক্ষ টাকা এই নং এ বিকাশ করলে মুক্তি দেয়া হবে। পরে সাইদুল নিজে ঐ নং থেকে আমার সাথে কথা বলে টাকা দিতে বলে।
কিছুক্ষণ পরে সাইদুল আরেকটি নং দিয়ে কল করে টাকা না পাঠাতে বলায় আর টাকা দেয়া হয় নাই।
এদিকে অভিযুক্ত ফোন নং এ কল করে রাতে এই নং থেকে মুক্তি পন দাবি করা হয়েছে এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার নাম হেজু মাঝি আমি এমন কথা বলিনি, তবে আমার ফোন দিয়ে ওরা কেউ বলেছে কিনা জানিনা ।
এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ডিবি) মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন এরা নদীতে চাঁদাবাজি করার সময় জেলেরা আটক করেন, তাদের বিষয়ে বিকাল সাড়ে ৩ টায় পুলিশ সুপার মহদয়ের নির্দেশে ব্রিফিং করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।