অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


গুলি চালিয়ে ভোলার ছেলে পুুুলিশ সদস্য’র আত্মহত্যা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই মার্চ ২০২০ রাত ০৩:৩৭

remove_red_eye

৮৪২



বাংলার কণ্ঠ  ডেস্ক : বাবা ও ছোট ভাইয়ের কাছে দুইটি চঠি লিখে নিজের নামে ইস্যুকৃত রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি চালিয়ে হৃদয় চন্দ্র দাস (২১) নামে  ভোলার এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে জেলা পুলিশ লাইন্সের নবনির্মিত ছয়তলা ব্যারাক হাউসের ছাদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হৃদয় চন্দ্র দাস ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জেরহাট চকদুশ এলাকার সুকন্ঠ চন্দ্র দাসের পুত্র ও জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে একবছর তিনমাস পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত সুপার মোঃ নাইমুল হক জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হৃদয় ব্যারাক হাউজের সামনে সেন্ট্রি ডিউটিরত ছিলো। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ব্যারাক হাউজের ছাদ থেকে তাকে উদ্ধার করে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি জানান, হৃদয়ের পকেট থেকে দুটি চিঠি পাওয়া গেছে। বাবা ও ছোট ভাইয়ের কাছে লেখা চিঠি দুটিতে তিনি তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তার পকেটে থাকা মানিব্যাগ থেকে একটি মেয়ের ছবি পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমের সূত্র ধরেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তার অস্ত্রসহ ছাদে যাওয়ার বিষয়ে যদি কোনো পুলিশ সদস্যর দায়িত্বে অবহেলা থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হৃদয় চন্দ্র দাসের একাধিক সহকর্মী জানান, হৃদয়ের সঙ্গে একটি মেয়ের তিন থেকে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সম্প্রতি ওই মেয়ের অভিভাবকরা তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন হৃদয়। হৃদয় ওেই মেয়েটিকে খুব ভালোবাসতেন। প্রেমিকাকে কাছে না পাওয়ার বেদনায় আত্মহত্যা করেছেন হৃদয়।
অপরদিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সিনিয়র সহকারি কমিশনার মোঃ রাসেল জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।