অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


কুরবানি আমাদের মাঝে সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় : রাষ্ট্রপতি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭শে জুন ২০২৩ বিকাল ০৪:৩২

remove_red_eye

২০৩

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, কুরবানি আমাদের মাঝে সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।
আগামী ২৯ জুন, বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব জাগ্রত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহ্র প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগের শিক্ষা ও প্রভু প্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাত ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে দিনাতিপাত করছে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন সমাজের দারিদ্র্য পীড়িত ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমি দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হোক এটাই সকলের কাম্য।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহ্র নিকট কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন আবশ্যক। সরকার নির্ধারিত স্থানে কুরবানি করে এবং কুরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।

সুত্র বাসস