অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


সংগীতশিল্পী মিতা হকের প্রয়াণ দিবস


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ই এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৪:০৮

remove_red_eye

৩৫৫

মিতা হক একজন বাংলাদেশি রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায়। ছোট থেকেই গান শিখেছেন। তিনি প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন।

১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সংগীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।

১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সংগীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতা হক। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট অ্যালবাম ২৪টি। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে।

তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষকে হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতিও ছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো-মোদের গড়ব মোদের আশা, ওরে ওরে ওরে আমার সোম, বাদল-বাউল বাজায় রে একতারা, পরবাসী চলে এসো, নীল দিগন্তে, জে রাতে মোর দুয়ারগুলি, পুরানকে বিদায় দিলে, আজি গোধূলি লগনে, ও যে মানে না মানা, হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলি, আমি মারের সাগর পরী দেবো, একা মোর গানের তরী ভাসিয়েছিলাম ইত্যাদি।

মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৭ সালে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা’য় রবীন্দ্র সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মিতা হককে ‘চ্যানেল আই আজীবন সম্মাননা’ দেওয়া হয়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সুত্র জাগো