অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০শে এপ্রিল ২০২২ ভোর ০৪:৫৮

remove_red_eye

২০১

 ভোলা সদর উপজেলার পৌর ৯ নং ওয়ার্ডের বাস স্টান্ড এলাকার চরজংলা মৌজায় বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর করে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে জবরদখলকারীরা প্রকৃত মালিকদেরকে হয়রানিসহ নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি পরিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মলনে লিখিত অভিযোগ করেন মৃত মকবুল আহমেদের কন্যা পারভিন আক্তার। এসময় পারভীন আক্তারের পক্ষে তার স্বামী ইউসুফ চিশতি বলেন, ১৯৬৭ সালে পারভীন আক্তারের বাবা মকবুল আহমেদ জনৈক আব্দুর রশিদের কাছ থেকে এসএ ৪৩৯ নং খতিয়ানের ৩৬৪১, ৩৬৫২,৩৬৫৩ নং দাগে ১১ শতাংশ জমি খরিদ করে বসত ঘর উত্তোলন করে বসবাসসহ ভোগ দখল করে আসছেন। মকবুল আহমেদের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা চাকরিসুত্রে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। বর্তমানে ওই বাড়িতে কেউ বসবাস করছেন না।

এই সুযোগে বিক্রেতা আব্দুর রশিদের ওয়ারিশ বাহাদুর,  ফয়সাল, রাসেল, জেসমিন, নাজমা গং ঘর বাড়ি জবর দখলের পায়তারা শুরু করে। এই জমির অন্য দাগের শরিকদের সাথে হাদিসের ওয়ারিশদের সাথে  আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই জমির উপর সম্প্রতি আদালতের স্থিতিঅবস্থা থাকলেও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা করে। এক পযার্য়ে জমির উপর টিনের বেড়া দেয়া। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষকে জানালে,তারা ২৪ ঘন্টারমধ্যে বেড়া অপসারনের জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা তা মানেনি। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ অপসারন করতে গেলে হাদিসের ওয়ারিশ ও সন্ত্রাসীরা পৌরসভার কর্মীদের উপর হামলা চালায়।

এঘটনার পর ঘর উত্তোলন করতে গেলে বিষয়টি ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানালে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পর আবারও ঘর তোলার চেষ্টা করে। লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা করে সুবিধা করতে না পেরে বাহাদুর,  নাজমা গং মিথ্যা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে পারভীন গংদেরকে হয়রানির করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। পারভীন আক্তার আরও অভিযোগ করেন, বাহাদুর নাজমাদের অত্যাচারে এলাকার আরও বেশ কয়েকটি পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।  তারা বিষয়টি  প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।