অর্ধশত লোক আহত প্রতিক বরাদ্দের প্রথম দিনেই উত্তপ্ত
কামরুল ইসলাম: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রতিক বরাদ্দের প্রথম দিনেই ভোলার দৌলতখান উপজেলায় প্রচারনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আটটি মোটরসাইকেল, দোকান ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাকোপা গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। এসময় দোকান ও আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের সদসস্য প্রার্থী রাহাদ তালুকদার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, বুধবার সন্ধার পর সমশের উদ্দিন হাওলাদার বাড়ির দরজায় তার উঠান বৈঠক চলছিল। বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোর্শেদ কিরন তালুকদারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী ইয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক উশৃঙ্খল যুবক মোটর সাইকেল মহড়া দিয়ে অতর্কিতে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমার ১০-১২ জন সমর্থককে আহত করে। আমার সমর্থক মাইনুদ্দিনের ঔষধের দোকানে ভাংচুর চালায়। হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে আমার সমর্থক বাবুল, ইমন, আবদুল খালেক, ইউছুফ, নুরনবী ও হাসান গুরুতর আহত হয়।
অপর প্রার্থী ইয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তিনি পাশের এক বাড়িতে উঠান বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তার সমর্থকরা দল বেঁধে মোটর সাইকেল চালিয়ে সভাস্থলে আসছিলেন। সমর্থকদের আগমন পথে আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রাহাদ তালুকদারের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে ৩০-৪০ জনকে আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা আমার সমর্থকদের ১০ টি মোটর সাইকেল, ৮ টি মোবাইল ফোন ও আমার চাচাত ভাই মাইনুদ্দিনের ওষুধের দোকন ভাংচুর করে। হামলাকারীরা এলাপাতাড়ি পিটিয়ে আমার সমর্থক বাচ্চু, মনজুর, জসিম, সেলিম, রায়হান, সোহাগ, তামজিদ, সজীব ও জাহিদসহ ৩০-৪০ জনকে আহত করে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচনী কেন্দ্রে টি ঝুঁকি পূর্ণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এছাড়াও সন্ধ্যার পর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী একে এম নাছির উদ্দিন নান্নুর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় তার ২ জন কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মাইনুদ্দিনকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মদনপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম নাছির উদ্দিন নান্নু অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার পর তাঁর প্রতিদ্ব›দ্বী আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সকেট জামালের লোক তার দুইটি নির্বচনী অফিস ভাঙচুর করে। এসময় তার সমর্থকরা বাঁধা দিলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এতে তার ২ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সকেট জামাল বলেন, আমি এখনো প্রচার প্রোচারনা শুরু করিনি । আমার কোনো লোক সেখানে যায় নাই। তারা নিজেদের অফিস নিজেরা ভাঙচুর করে আমাকে দোষারোপ করছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলার রহমান বলেন, আমরা ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয় প্রার্থীকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।