বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ই জুন ২০২১ রাত ১১:১৮
৩২৪
অনাহারে অর্ধাহারে আছেন স্ত্রীসহ স্বজনরা
বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার বাংলাবাজারের ও বকসের আলী খালের কাঠের ব্রিজ খুলে দিয়ে পাক সেনাদের প্রবেশ ঠেকানোসহ বেশ কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়া দৌলতখানের কলাকোপা গ্রামের হাতেম আলী খালাসী রাষ্ট্রীয়ভাবে পান নি মুক্তিযোদ্ধার সম্মান। গ্রেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে গিয়ে হয়েছেন প্রতারিত। জীবিত থাকতে শুনে যেতে পারেন নি তিনি সনদভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। তবে এলাকার মানুষ স্বীকার করেন হাতেম আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক মামুনুর রশিদ বাবুল জানান, হাতেম আলী তার বাবা খোরশেদ আলম চৌধুরী’র সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়ে ছিলেন। তার অনেক সাহসী ভূমিকা ছিল। একই কথা জানান বেঁচে থাকা সহযোদ্ধা রফিক মিয়া। শনিবার ভোলা প্রেসক্লাবে আসেন হাতেম আলী খালাসীর স্ত্রী অজুফা খাতুন ( বিবি অজুফা) , বড় ছেলে মোঃ নূরে আলম, মেয়ে আকলিমা বেগম। অস্বচ্ছল এই পরিবারটি তাদের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হন। অজুফা বেগম জানান, তাদের বাড়ির সামনের বাগানে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। ফারুক কমান্ডোরের নেতৃত্বে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে তার স্বামী একজন । মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রান্না করা, মসল্লা বেটে দেয়া অনেক কাজ করতে হতো অজুফা বেগমকে । স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এইটুকুই এখন শান্তনা। ২০০৫ সালের ১১ ডিসেম্বরের যাচাই বাছাই কমিটির এক তালিকায় দৌলতখান উপজেলার ৩২ নম্বরে তার স্বামীর নাম ছিল। কিন্তু গ্রেজেটভুক্ত হয় নি। গ্রেজেটভুক্ত হওয়ার জন্য প্রমানাদি কাগজপত্র দেন আপন ভাগ্নে রুহুল আমিন কাজিকে। মামাকে তালিকাভূক্ত না করে নিজেই গ্রেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা বনে যান হাতেম আলীর ভাগ্নে রহুল আমিন কাজি ( বর্তমানে ভোলার ভেলুমিয়ায় থাকেন) । অজুফা খাতুন জানান, ওই কাগজপত্র আর ফেরত দেয় নি রুহুল আমিন কাজি। রুহুল আমিন কখনও মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন না বলেও জানান অজুফা বেগম। ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি লিভার জনিত রোগে মারা যান হাতেম আলী। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য অন লাইনে আবেদন করার বিষয়টিও জানতে পারেন নি ওই পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটছে তাদের। অনেকের কাছে ছুটে গেছেন, কিন্তু সহায়তা পান নি। হয়েছেন প্রতারিত। ২০ হাজার টাকা নিয়ে কেউ একজন সনদ এনে দিয়েছেন। তাও ছিল ভূয়া ও জাল। আরো একজন ৮০ হাজার টাকা চেয়েছেন গ্রেজেট ভূক্ত হতে। ওই টাকা দেয়া সম্ভব হয় নি পরিবারের পক্ষে। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই ফরমে আবেদন করেন বিবি অজুফা ( অজুফা খাতুন) । মন্ত্রনালয়ে খোজ নিতে গেলে জানানো হয় উপজেলায় পাঠানো হবে। সেই নামও আর আসে নি। এভাবেই বছরের পর বছর চলে গেছে। মৃত হাতেম আলী খালাসির আর সনদধারী মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠো সম্ভব হয় নি। বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অজুফা খাতুন । জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ এই প্রতিবেদকের কাছে এমন বিষয় জেনে দুঃখ প্রকাশ করেন। হাতেম আলীর সনদ প্রাপ্তিতে তারা সহযোগিতা করবেন বলেও জানান।
ভোলায় মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারী বাসু দাসের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বোরহানউদ্দিনে প্রাণ গেল সাতক্ষীরার বাহাদুরের
শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপি’কে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বাড়তি ভাড়া চেয়ে যাত্রীদের হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
ডিজিটাল ডিভাইস শনাক্তকরণে সফলতা, সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা
ভোলায় সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক অবহিতকরণ সভা
ভোলায় মহানবী (সা.) কে কটুক্তিকারীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান
ভোলায় বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
পণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ভোলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত