অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ভোলায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূর উপর নির্যাতন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১শে মে ২০২১ রাত ১১:১৩

remove_red_eye

৪৭৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূ ছোনিয়ার উপর শশুর শাশুড়ীর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ মে) সকালে সদর উপজেলার পর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াড চর ইলিশা গ্রামে ইদ্দিস রাঢ়ী (কাইচ্চা আলাগো) বাড়িতে ইদ্দিস রাঢী ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম মিলে তাদের পুত্রবধূ সোনিয়াকে যৌতুক জন্য মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া (২৮) গুরুতর আহত হয়।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। আহত সোনিয়া ভোলা সদর হাসপাতালে মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসারত আছেন।
জানা যায়, ৪ বছর আগে পশ্চিম ইলিশা রাস্তার মাথা গ্রামের মোঃ হারুন মেয়ে সোনিয়ার সাথে পূর্ব ইলিশা ২ নং ওর্য়াড চর ইলিশা গ্রামের ইদ্দিস রাঢ়ীর ছেলে ইমরান এর বিয়ে হয়। তাদের একটি ২ বছরের ছেলে সন্তান আছে।
আহত সোনিয়া জানান, বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী, শশুর, শাশুড়ী মিলে আমার উপরে যৌতুকের জন্য নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। বিয়ের পরে আমার বাবার বাড়ি থেকে একাধিক বার মোট ৫ লক্ষ টাকা মোটরসাইকেল, কানের দুল, গলার হার সহ ৩ ভোরির গহনা এনে দিয়েছি। তার পরেও আজ আবার গরু কেনার টাকা আনার জন্য বলে আমি রাজি না হলে আমার বাবা মাকে গালাগালি করে। তারা বলে তোমার ছেলে হইছে এখন আমরা গরু পামু গরুর টাকা নিয়া আসো।আমি তাদের বলছি আমার বাবার কাজকাম নাই দিন আনে দিন খায় এখন দিতে পারবে না। তখন আমার শশুর গলা টিপে ধরে এবং আমার শ্বাশুড়ি এলোপাতাড়ি লাথি মারতেছে। আমি তাকে এরাবার চেষ্টা করি তিনি কোন বাধাঁ না মেনেই আমার উপর আগাত করে। পরে আমাকে ঘরে রেখে ঘড় তালামেরে রাখেন। আমি অজ্ঞান হয়ে পরি জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোনিয়ার শ্বশুর ইদ্দিস রাঢ়ী সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে মারামারির এমন কিছুই ঘটেনি।আমার ছেলের স্ত্রী তার বাবা বাড়ি থেকে ১০ দিন পরে আমার বাড়িতে আসছে। রাতে আমাদের সাথে ছিলো। সকালে তার স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে নাকি জগরা হইছে। পরে আমরা আমাদের এখানের বারেক মেম্বারের সাথে বিষয় টা নিয়ে বসি। সেখান থেকে সে চলে যায়।

অন্যদিকে সোনিয়ার স্বামী ইমরানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে সে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে এ বিষয়ে মামলার কথা জানতে চাইলে আহত গৃহবধূ সোনিয়া বলেন আমার পরিবারে পক্ষে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এখনো কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।