অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪ | ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হুমকি ধামকি


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪শে মে ২০২১ রাত ১০:৫৬

remove_red_eye

৪৮০

দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন রোববার রাতে পাতার খাল মাছ ঘাটে সাগর থেকে ফেরা দু’টি মাছ ধরা ট্রলার আটক করতে গিয়ে ট্রলার মালিকের নেতৃত্বে জেলেদের সংঘবদ্ধ চক্রের রোষাণলের শিকার পড়েছেন। এ সময় তারা কর্মকর্তাকে গালমন্দ ও আজে বাজে মন্তব্য করেন। উগ্র স্বভাবের দু’একজন তাকে হুমকী ধমকী দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন মুঠো ফোনে বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর ২০ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত সাগরে সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সাগরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দু’টি ট্রলার মাছ আহরণ করে দৌলতখানের পাতার খাল ঘাটে এসে ভিড়েছে। পুলিশের একজন এসআই ও দু’জন কনস্টেবল (সিভিল পোশাকে নিরস্ত্র) সঙ্গে নিয়ে ঘাটে যাই। মেরিন ফিসারীজ অ্যাক্ট ২০২০ মতে ট্রলার দু’টিতে সাগরের মাছ আছে কিনা তল্লাশি করতে গেলে ট্রলারের মালিক (একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি) ও সংঘবদ্ধ জেলেরা উত্তেজিত হয়ে বাধা প্রদান করে। তারা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে কেউ কেউ তেড়ে আসে। অনেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করলে আরও ফোর্স চেয়ে স্থানীয় থানায় ফোন দেই। থানার কোন সাড়া না পেয়ে আমার জেলা অফিসারকে (ডিএফও) ফোনে জানাই। ডিএফও এসএম আজহারুল ইসলাম রাত দেড়টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে ফোন করে কোন সাড়া পাননি। আমি এডিশনাল এসপিকে (ভোলা ও দৌলতখান) ফোন দেই। এর ২৫ মিনিট পর থানার একজন এসআই ও একজন কনস্টেবল (সিভিল পোশাকে নিরস্ত্র) এসে যোগ দেন। পরে দুই ট্রলারে পাওয়া মাছ ৭ হাজার ৫০০ টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়। ট্রলার দু’টিকে ১৫ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  বলেন, মাঠ পর্যায়ে সরকারের আইন ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সহযোগিতা পাওয়ার পরিবর্তে এভাবে যদি নাজেহাল হতে হয়, তাহলে সরকার প্রণীত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা দুরুহ হয়ে পড়বে।