অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ভোলা পৌর নির্বাচনে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা


ইসতিয়াক আহমেদ

প্রকাশিত: ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত ১১:৪০

remove_red_eye

৬৩৫

পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর
ইসতিয়াক আহমেদ \  ভোলা পৌর সভার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা জমে উঠেছে।  নির্বাচনকে ঘিরে শহর ছেয়ে গেছে পোস্টারে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট, অলিগলি, পাড়া-মহল্লায় প্রার্থীদের সাদাকোলো বিভিন্ন ডিজাইনের পোস্টার টাঙানো হয়েছে। মেয়র থেকে শুরু করে সাধারন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রার্থীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে উত্তাপ। ইতো মধ্যেই কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষেল ঘটনা ঘটেছে। তবে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট্র সূত্র জানান,আগামী ২৮ শে ফেব্রæয়ারি ভোলা পৌর নির্বাচন ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬ হাজার ৯০৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ৬৫৯ জন ও নারী ভোটার ১৮ হাজার ২৪৫ জন। মোট ২০ টি কেন্দ্রে ১২২ টি বুধে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তারা হচ্ছেন  আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,বিএনপির প্রার্থী হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান ও আসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আতাউর রহমান মনতাজী। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। এসব প্রার্থীদের  সকলেই প্রচার প্রচারনা করে থাকলেও আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনিরুজ্জামানের প্রচার প্রচারনা চলে ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত। প্রতিদিন তার গন সংযোগ,উঠান বৈঠকে নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের ঢল নামে। তা ছাড়া এ বছর কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারনা এখন তুঙ্গে। তারা ভোটারদের মনজয় করার পাশাপাশি নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন। বিগত বছর এমন প্রতিদন্দিতা দেখা যায়নি।
৫নং ওয়ার্ডের ভোটার ইয়ামিন আহমেদ বলেন, পোস্টার আমাদের ওয়ার্ডেই বেশি লাগানো হয়েছে। মনে হয় কাগজের উৎসব চলছে। মাইক দিয়ে প্রচারণার চেয়ে পোস্টারই ভালো। ভোটার ইউসুফ বলেন, আসলেই অন্য নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচনটা অনেক জমে উঠেছে। পুরো শহর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। অপেক্ষায় আছি কখন ২৮ তারিখ আসবে, আর নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিব।ভোটার আবির বলেন, পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এত বেশি পোস্টার লাগানোর কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুতের পিলারের সঙ্গে অনেক পোস্টার টাঙানো আছে, হঠাৎ যদি কাগজে আগুন লেগে যায় তাহলে আগুন ছড়িয়ে যাবে।
এদিকে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দিন রাত পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। গত বুধবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃংখলা সভায় জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, নির্বাচনের আচারণ বিধি পর্যবেক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার সার্থে পৌর এলাকায় ৪ জন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট’র নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট বেলা ১২টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়ে যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয় হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রের বুথে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে অন্য জেলা থেকে আগত ১ জন করে নির্বাহী মেজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। যদি কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সেক্ষেত্রে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।