অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


উন্নয়নের ধারাকে গতিশিল করতে মানুষ নৌকায় ভোট দিবে: মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত ১১:২২

remove_red_eye

৪৭১

অচিন্ত্য মজুমদার / কামরুল ইসলাম \ নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ভোলা পৌরসভা। আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারি এই পৌরসভায় প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তাই এলাকা জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলী রাস্তাঘাট। প্রার্থীরা দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি এলাকা। শুক্রবার সকালে ভোলা পৌর নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ৯নং ওয়ার্ডের গণসংযোগ করেছেন। সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি যুগীরঘোল থেকে নির্বাচনি গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর ভকেশনাল রোড হয়ে চরজংলা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিন ভোট চাওয়ার পাশাপাশি শুভেচ্ছে বিনিময় করেন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। টেকনাফ থেকে তেতুলীয়া, রূপসা থেকে পাথরীয়া তার উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা পৌরসভায়ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হচ্ছে। ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা তোফায়েল আহমেদের হাত ধরে গত দশ বছরে ভোলা পৌরসভায় ৩৮ কিলোমিটার ড্রেন, সরকার স্কুল ও টাউন স্কুলের পরিত্যক্ত মাঠকে নান্দনিক করে সাজিয়ে তোলা, ওয়াকওয়ে নির্মান, ইলিশ ফোয়ারা, জেলা পরিষদ পুকুরে বক ফোয়ারা, গার্লস স্কুল সংলগ্ন গেøাব ফোয়ারা, সকল রাস্তাঘাট, এলইডি লাইটসহ প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে।
তিনি বলেন,  জননেতা তোফায়েল আহমেদ ভোলাকে সিঙ্গাপুর গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছেন সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা নিরলোস কাজ করে যাচ্ছি। এই  ভোলাবাসি আমাকে অথ্যান্ত ভালবাসে। তাই আমি মনে করি উন্নয়নের ধারাকে গতিশিল করতে আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারি পৌরবাসী বিপুল ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করবে।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বিএনপি দলীয় ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানকে ও বাংলাদেশ ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমা। পাশাপাশি ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারি এই পৌরসভার ৩৬ হাজার ৯০৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবে।