অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪ | ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


ভোলায় গুরুতর জখম ব্যক্তির ডাক্তারী সনদে সিমপ্লি ইনজুরী


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ই জানুয়ারী ২০২১ রাত ১০:১২

remove_red_eye

৫৪৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক:  অবিশ্বস্য হলেও সত্য । পঞ্চাশ উর্ধো মো: আলীকে  ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দিলেও বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালের ডাক্তারী সনদে বলা হয় ভোতা লাঠির আঘাত লেগে ক্যাবল হাত ভেঙেছে। এমন সনদের কারনে আসামীরা পার পেয়ে যায়। অথচ জখমের ক্ষত আজ বয়ে বেড়াচ্ছেন মোঃ আলী।


শনিবার ভোলা ২৫০ শর্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জানান, বোরহানউদ্দিন হাসপাতাল থেকে গুরুতর আহত গত বছরের ২৮ এপ্রিল মোঃ আলীকে ভোলা হাসপাতালে রেফার করা হয় । এ কারনে ওই হাসপাতাল থেকে ডাক্তার যে সাটিফিকেট দিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই ভোলা সদর হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ মমিনুল ইসলাম ইনজুরী সাটিফিকেট দেন  । মোঃ আলীকে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা তার শ্যালক ইব্রাহিম সাংবাদিকদের জানান, বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের ডাক্তাররা কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়েই মোঃ আলীকে ভোলায় রেফার করেন। অথচ আসামীদের যোগসাজসে ওই হাসপাতালের ডাঃ তাসনীম আফররোজ খান । মোঃ ইব্রাহিমের পায়ে ১৫টি সেলাই লাগে। হাটুর উপরে ধারালো অস্ত্রেও জখমে মাংস পড়ে যায়। শরীরের অন্য স্থান থেকে চামড়া এনে জোড়া দেয়া হয়। হাত ভেঙে দেয়া হয়। অথচ ডাক্তারি সাটিফিকেটে উল্লেখ করা হয়  সিমপ্লি ইনজুরি । ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডেও রামকেসব এলাকার মোঃ আলীর বাড়ি। কবরের স্থানের মাটি ভরাট করার সময় মোঃ আলীর ছেলেদেও সঙ্গে প্রথমে ঝগরায় লিপ্ত হয় প্রতিবেশি আব্দুল গনির ছেলে  আনোয়ার হোসেন ( ৩০), মোঃ হাসনাইন ( ২৭), মোঃ মামুন ( ২৫) ও রফিকের ছেলে ফজলে বারি ও জয়নালেল ছেলে মোঃ ফারুক। পরে ওই সন্ত্রাসীরা ধারালো দা ও অস্ত্র নিয়ে মোঃ আলীর উপর হামলা করে। তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করে । আশপাশের মানুষ ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এদিকে আসামীদেও মধ্যে মামুন চরফ্যাশন হাসপাতালের নাইটগার্ড। ওই সুবাদে মানুনের যোগসাজসে  ডাক্তারি সনদে সাদামাঠা জখমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে মোঃ আলী অভিযোগ করেন। এদিকে ভোলা হাসপাতালে মোঃ আলীর চিকিৎসক ছিলেন ডাঃ ফয়জুর রহমান।


তিনি সাংবাদিকদের জানান,  ওই রোগীর গুরুতর জখম ছিল। তার হাত ও পা ভেঙে ছিল। হাটুর নিচে মারাত্মক জখম থাকায় শরীরের অন্য স্থান থেকে চামরা এনে জোড়া দিতে হয়। তবে ছাড় পত্রে তিনি  মারাত্মক জখম উল্লেখ কওে ছিলেন। সেটি ঠিক বলে জানান। অপরদিকে আদালত থেকে তাকে সমন জারি করা হলেও বিষয়টি তাকে জাননো হয় নি বলেও তিনি জানান। একটি চক্র এর পেছনে কাজ করছে বলেও মনে করছেন মোঃ আলীর স্বজনরা। তারা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও আসামীদেও শাস্তি দাবি করেন।