অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ভোলা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা


অচিন্ত্য মজুমদার

প্রকাশিত: ১৪ই নভেম্বর ২০২০ সকাল ১১:১১

remove_red_eye

৪০৩

অচিন্ত্য মজুমদার: মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে ৪ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।  

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সভাপতি/সম্পাদক পদে আগ্রহী পদ-প্রত্যাশীদের আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে ডাকযোগে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয়ার জন্য। 

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামিম জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ভোলা জেলা কমিটির পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাদের বয়স আছে, যারা ছাত্র এবং যাদের ক্লিন ইমেজ রয়েছে তাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটির গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। 

 

এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোলার সর্বস্তরের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ভোলা জেলা ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীর জনকের ঘনিষ্ঠ সহচর ৬৯'এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ এমপির হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ভোলা জেলা ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। যারা বিগত দিনে ছাত্রলীগের রাজনীতি ও দলীয় কর্মকান্ডের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিল তাদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব নির্বাচন করলে ভোলা জেলা ছাত্রলীগ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে মনে করছেন তারা। 

 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৯ মে সম্মেলনের মাধ্যমে ইব্রাহীম চৌধুরী পাপনকে সভাপতি এবং রিয়াজ মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট ১ বছর মেয়াদী কমিটি অনুমোদন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তারপরে কমিটি ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি খসড়া তালিকা জমা দিলেও তা অনুমোদনের আগেই ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তারাও ভোলার নতুন কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়। 

 

নতুন করে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠিত না হওয়ার পাশাপাশি সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ভোলা থানায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়ায় ভোলার গোটা ছাত্র সমাজের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের একাংশ। 

 

অবশেষে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের পাপন-রিয়াজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।