অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ২৬শে মার্চ ২০২৫ | ১২ই চৈত্র ১৪৩১


ভোলার মালেরহাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কের বেহাল দশা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ০৯:৪৯

remove_red_eye

১০০



মানুষের দুর্ভোগ

শফিক খাঁন ॥ ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব চরপাংগাশিয়া মালেরহাট বাজার সংলগ্ন ব্রিজের পশ্চিম পাশ  থেকে চর পাংগাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা  সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের।  সড়কটি কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টি হলেই হাঁটু পরিমাণ কাঁদা জমে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়। শুষ্ক মৌসুমে সড়কে কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুষ্কর। সড়কটি পূর্ব চরপাংগাশিয়া ৫ নং ওয়ার্ডের রুস্তম আলী কন্ট্রাক্টরের দারোগার খাল পার হয়ে তহসিলদার ব্রিজের মোড় পর্যন্ত। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য এবং এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের একমাত্র পথ। বর্ষাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগেণর কষ্টের সীমা থাকে না। প্রায় দুই যুগ কাঁচা সড়কটি পাকা না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
সরে জমিনে দেখা যায় , রুস্তম আলী কন্ট্রাক্টরের পুরাতন ব্রিকসের সামনে দিয়ে তহসিলদার মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে । মাঝে মাঝে কাঁচা সড়ক বর্ষার পানিতে ভেঙে গেছে, ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক এলকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যাবস্থা করলেও তা এখন মরণফাঁদে রূপান্তরিত হয়েছে। এ এলাকায় চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী এখন সুকনা মৌসুমে অতিষ্ঠ ধুলায়, আর বর্ষা মৌসুমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন কাঁদায়। কিছু কিছু স্থানে সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে ভোগান্তির শিকার হয় কয়েক হাজার মানুষ।
অটো চালক মনসুর মিয়া, গরু ব্যাবসায়ী সবুজ বেপারি বলেন এ রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থিরা একাধিকবার ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
এমনই অবস্থা দুর্ঘটনার পরে চিকিৎসার জন্য দ্রুত নেওয়ার কোন ব্যাবস্থা নেই, তাই আমাদের দাবী সরকার যেন দ্রুত সড়কটি নির্মানকরে আমাদের ২০০ পরিবারের চলাচল ও শিক্ষাার্থীদের চলাচল সুগম করার সুযোগ করে দেয়।

একই এলাকার সমাজসেবক ও বিজেপি নেতা মোঃ আলমগীর হোসেন মানিক বাঘা বলেন, সড়কটি খুব জনগুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কে প্রায়ই শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় । তখন এমনই অবস্থা একটা এ্যাম্বুলেন্স তো দুরের দ্রুত একটি অটো রিকসাওয়ালা যেতে পারে না। সবদিক বিবেচনা করে এ সড়কটি নির্মান করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিরসন হোক এটাই আমার চাওয়া।
 স্থানীয়( লোকাল) সার্ভেয়ার মোঃ সেলিম বলেন,  আমাদের এলাকায় প্রচুর কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়। সড়কের বেহাল দশার কারণে কৃষকেরা সময়মতো কৃষি ফসল বাজারজাত করতে না পেরে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এর একটা সমাধান হবে এবং জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সড়কটি জরুরি  পাকা করার ব্যাবস্থা করবেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগন।
ভোলা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন. সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ বলে আমি জেনেছি। তবে অতিদ্রুত সড়কটি নির্মান করা হবে ইনশাআল্লাহ।