অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনের জনপদে কাশফুলের সিগ্ধতায় শীতের আগমনি বার্তা


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮শে অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৫:৫১

remove_red_eye

২৩০

এআর সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন প্রতিনিধি : প্রকৃতিতে শরত সেজেছে শুভ্র মেঘ আর কাশফুলে । সাদার মলাটে মেঘবন্দি আকাশ আর মৃদু বাতাসে সবুজ ঘাসের  মাঝে দোলায়িত কাশফুলের ছোঁয়া যেন প্রকৃতির সিগ্ধতায় কিশোর কিশোরী আর বয়োবৃদ্ধ উৎসুক সকলকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে চরফ্যাশনের জনপদে। কাশফুলের সঙ্গে  সাদা মেঘের বন্ধুত্বে চোখজুড়ানো কাশফুল যেন আবহমান বাংলার প্রকৃতিতে বিচ্ছেদ্য মিতালী করে নিয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া মেঘনা নদীর তীরে এ কাশফুলের দেখা মেলেছে। গতকাল ২৮ অক্টোবর সোমবার বিকেলে শরতের কাশফুলে আলিঙ্গন করে নিয়েছে   প্রকৃতির এ অপরুপ দৃশ্যে। প্রতিদিন বিকেলেই এই কাশফুল দেখতে ভীড় করছে নদী পাড়ে ঘুরতে আসা তরুন কিশোর কিশোরী ও যুবক বয়সের বিভিন্ন পর্যটকরা। শরত সৌন্দর্যের  প্রতীক এ ফুলের মাঝে আছে ভিন্নতা। মানুষকে আকর্ষন করে ডাকলেও নেই তার ঘ্রাণ। পর্যটকরা কাশফুলের এ সৌন্দর্য উপভোগ করে স্মৃতি হিসেবে ক্যামেরাবন্দি করে নিয়ে যান। ঋতুকেন্দ্রিক এ ফুল শীতের বার্তা বয়ে আনেন বলেও মনে করেন সাধারণ মানুষ। ইদানীংকালে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে আগের মতো কাশফুল সচরাচর দেখা যায়না। বেতুয়ার একটি রেস্টুরেন্টের পাশে দেখা মিলেছে এ কাশফুলের। রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান রনি জানান, এখানে নদী পাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা প্রতিদিন ভিড় করছেন কাশফুল নিয়ে ছবি তোলার জন্য। কিশোরী শীলা রাহমান বলেন, মাঝেমধ্যে আমাদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার জন্য একটু ঘুরতে বের হওয়া উচিত। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে এসে মেঘনার তীরে  ধবধবে সাদা এই কাশফুল দেখে ছবি তুলে আনন্দ উপভোগ করছি। ষাটোর্ধ নদী পাড়ের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন,আগেকার দিনে মাঠের পর মাঠ কাশবনে ছেয়ে থাকতো। এখন আর কাশবন দেখা যায়না। 
অতিরিক্ত কিটনাশক ও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহারে মাটির উর্বর শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কোন একসময় এ কাশফুল বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে মনে করেন বন ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ নজরুল কবির।