অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিনকে সংবর্ধনা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬শে অক্টোবর ২০২৪ রাত ১০:১৪

remove_red_eye

৩১

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ভোলার উত্তরের অন্যতম সামাজিক সংগঠন গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের উদ্যোগে তাকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও দুদকের পিপি এডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন এর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক এডভোকেট বিথি ইসলাম, নাজিউর রহমান কলেজের সাবেক অধ্যাপক বিশিষ্ট সাহিত্যিক কাজল কৌশিক, পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রব, জামিরালতা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রভাষক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মীর নুরে আলম ফরহাদ, ৩২নং মুজাফফর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বাহার, কাচিয়া গুড়া মিয়ার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কাদের মনজু, গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডাঃ মেহেদী হাসান কামাল প্রমুখ।
গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের ভোলার সহযোগী সম্পাদক এম শাহরিয়ার ঝিলনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ আনিসুর রহমান টিপু, গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের যুগ্ম আহŸায়ক আনিসুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চ্যানেল আই জেলা প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ, এসএ টিভি জেলা প্রতিনিধি মোঃ বিল্লাল হোসেন, নেক্সাস টিভির জেলা প্রতিনিধি মোকাম্মেল মিশু, সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র দে, পাঠাগারের নির্বাহী সদস্য তানভীর আহমেদ নকিব, নুরে আলম প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথি জাকির হোসেন মহিন বলেন, আমার কর্মজীবন সাংবাদিকতার মাধ্যমে শুরু হয়। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে মানুষের নানা সমস্যা দেখতে পাই। তখন থেকেই আমার চিন্তায় আসে এই মানুষগুলো নিয়ে কাজ করার। ভোলা একটি বিচ্ছিন্ন জেলা। এই জেলার মানুষ বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত ও সুবিধা বঞ্চিত। তাই তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের চিন্তা থেকেই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা আসে। সেই চিন্তা থেকেই আমি গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করি। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের দৌড়গৌড়ায় সেবা পৌছে দিতে সক্ষম হই। হাটি হাটি পা পা করে আজ প্রতিষ্ঠানটি ভোলার বাহিরেও বিভিন্ন জেলায় কাজ করে যাচ্ছে। আমার লক্ষ্য হলো মানুষের জন্য কিছু করা। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে নিজের আত্মতৃপ্তি হয়।
তিনি বলেন, আজ গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার একাধিক প্রজেক্ট রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে কৃষি, পশুপালনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়। সেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানটি আরও ব্যাপক পরিসরে কাজ করে যাবে ইনশাল্লাহ।
তাকে গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ায় তিনি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন ও অন্যান্য সদস্যদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ভোলার মতো একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে মানুষের মাঝে তার সেবা পৌছে দেওয়া ছিলো একটি চ্যালেঞ্জ। জাকির হোসেন মহিন সেই চ্যালেঞ্জটি নিতে পেরেছেন। তার মেধা, প্রজ্ঞা ও শ্রম দিয়ে তিনি গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থাকে একটি আলোকিত প্রতিষ্ঠানে রুপ দিয়েছেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে হাটি হাটি পা পা করে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। তার প্রতিষ্ঠানটি ভোলার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ সেবা পাচ্ছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ ভোলা তথা দক্ষিণাঞ্চলে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা একটি বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে তিনি সরকারি ও বেসকারীভাবেক একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কল্যাণে আরো ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাবে। জাকির হোসেন মহিন ও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা উত্তোরাত্তোর সমৃদ্ধি কামনা করেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিনের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের পক্ষ থেকে বজ্রপাত রোধে তালের বীজ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। ভোলা-বরিশাল মহাসড়কে দুই পাশে এই তালের বীজ রোপন করা হয়।