অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ই আশ্বিন ১৪৩১


দৌলতখানে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ১০:১৭

remove_red_eye

৫৮

 

 
রোমানুল ইসলাম সোহেব,দৌলতখান থেকে : ভোলার দৌলতখানে হালিমা খাতুন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: নুরে আলমের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিযে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই কলেজের ৮ জন কর্মচারী। ওই ৮ কর্মচারী দৌলতখান প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সোমবার বিকেল ৫ টায় সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। 
 
এ সময় উপস্থিত কর্মচারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে অফিস সহায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ জনাব নুরে আলম ২০১০ সালে আমাকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা, মো: ফয়সালকে অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দিয়ে ৫ লাখ টাকা, ইসমাইল সওদাগরকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা, সাথী বেগমকে ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে নিয়োগ দিয়ে ৬ লাখ টাকা, মো: মিরাজকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মো: হারুনকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে ৬ লাখ টাকা, আমজাদ হাওলাদারকে নিয়োগ দিয়ে ৩ লাখ টাকা এবং শেফালী বেগমকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। 
 
চাকরীর আশায় আমরা ৮ জন গরীব কর্মচারী জমাজমি বিক্রি ও ধার দেনা করে অধ্যক্ষ মহোদয়কে ২৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়েছি। আমাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার পর আমাদের কাছ থেকে যোগদান পত্রও নিয়েছেন। আমরা উল্লিখিত ৮ জন কর্মচারী গত ১৪ বছর যাবত যথারীতি কাজ করে আসছি। 
 
কিন্তু অধ্যক্ষ মহোদয় আজ অবধি আমাদেরকে এমপিওভুক্তির নামে কাল ক্ষেপন করে আসছেন। ভুক্তভোগী কর্মচারীগণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনতিবিলম্বে তাদের এমপিওভুক্তি অথবা তাদের কাছ থেকে অধ্যক্ষের নেওয়া টাকা ফেরত দাবী করেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মো: নুরে আলমের এ ০১৭১৯৬০৩৯৯২ নাম্বারে একাধিক ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য দেওয়া সম্ভাব হয়নি।