অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ই আশ্বিন ১৪৩১


দৌলতখানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন কর্মবিরতি পালন


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:১৬

remove_red_eye

৮১

দৌলতখান সংবাদদাতা : সারা দেশেরন্যায় ভোলার দৌলতখানেও সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেজেটেড কর্মকর্তাদের উপর প্রকল্প থেকে রাজস্বে আসা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ১ ঘন্টার কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হয়। 
বুধবার বেলা ১১টায় ভোলার দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও দৌলতখান সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পৃথকভাবে  একর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচি থেকে ঢাকা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান ও আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বিজয় এর উপর হামলার প্রতিবাদে  শিক্ষকরা  দাবি আদায় ও  একইসাথে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা মূলত প্রকল্পের অংশ হিসেবে উপবৃত্তি কর্মকর্তা।  প্রকল্পের মেয়াদ শেষে চাকুরি থেকে অব্যাহতির শর্তে যোগদান করেন। পরে মানবিক বিবেচনায় তাদেরকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে রাজস্বভুক্ত করা হয়। তারা এখন তাদের জন্য বিধিমালা অনুসারে বরাদ্দকৃত পদের বাইরে গিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়ন চাচ্ছে যা পিএসসির মাধ্যমে এবং বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক এবং বিধিবহির্ভূত।  
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর বিভিন্ন সুযোগসন্ধানী মহল সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে গিয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়া পেশ করছে যা অধিকাংশই অগ্রহণযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় মাউশিতে একাডেমিক সুপারভাইজার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও অগ্রহণযোগ্য অনভিপ্রেত। বিভিন্ন দাবী হিসেবে নিয়মিত হাজির হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা নিজ নিজ অঞ্চলের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসমূহকে উন্মুক্ত রেখে মাউশিতে এসে দলবদ্ধভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়োগ চালিয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে অগ্রহণযোগ্য ও বিধিবহির্ভূত অকথ্য বিভিন্ন ভাষার ব্যানারও ফেষ্টুন ব্যবহার করেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে তারা কর্মসূচিতে আসার জন্য জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের অনুমতিও নেননি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।  ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এমনকি নারী শিক্ষকদেরও হেনস্তা করা হয়েছে। এদের হাতে সরকারি স্কুল ও বেসরকারি স্কুলসমূহের সম্মানিত শিক্ষকরা যে নিরাপদ নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার  প্রতিবাদ হিসেবে আমরা মানববন্ধন ও কর্মবিরতি দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা কর্মসূচি পালন করে যাবেন বলে জানান। কর্মসূচিতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জীব কুমার হালদার, শাখাওয়াত হোসেন সোহাগ, মো. হাবিব উল্লাহ, মো. হাবিবুর রহমান, মো. হামিদুর রহমান পারভেজ,মো. জাহাঙ্গীর আলম, রাহিমা আকতার, আলমগীর হোসেন। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একেএম মনিরুল আলম, মো. বশির উল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম,  নূসরাত সুলতানা, মিতালী আকতার, জান্নাতুল ফেরদৌস, আ: জলিল,  ওমর ফারুক,  মো. কাইয়ুম।