অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর ২০২৪ | ২৩শে আশ্বিন ১৪৩১


ভোলায় আখের সাথে সাথী ফসল আলু আবাদে দ্বিগুন লাভবান কৃষকরা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪শে আগস্ট ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৬

remove_red_eye

৫৯

হারুন অর রশীদ : ভোলায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে আলু করে দ্বিগুন লাভবান কৃষক। বর্তমানে চলছে খেত পাইকারদের কাছে বিক্রি ও কাটার ধুম। ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। আখ চাষে পরিশ্রম বেশি হলেও খুশি আখ চাষিরা।
কৃষি বিভাগের হিসেবে, ভোলায় এবার ৫ শত হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। লাভ বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত কৃষকরা আখ চাষে ঝুকছে । আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে আলু করে দ্বিগুন লাভ গুনছেন আখ চাষিরা। কৃষকদের সহযোগিতা করছেন কৃষি বিভাগ।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার কৃষক মোঃ ইছহাক জানান, কার্তিক মাসে আলু ও একই জমিতে অগ্রাহায়ন মাসে আখ রোপন করি তিন মাসের মধ্যে আলু উঠে যায় নয় মাসে আখ । আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে আলু রোপন করে। লাভ আসে দ্বীগুন। আখে কস্ট বেশি হলেও লাভ ভালো। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে আখ গুলো। খেত থেকেই পাইকাররা আলু ও আখ কিনে নিয়ে যায়। বেচা বিক্রিতে  কোনো বেগ পোহাতে হয়না, একই ভাবে কৃসক মোঃ হোসেন মোল্লা, মোঃ রেশাদ আলী রেশু,  মোঃ কামাল হোসেন ও মোঃ ফারুখ তাদের লাভের কথা তুলে ধরেন। আখের পাইকাররা আখের খেত কেনা শুরু করেছেন। প্রতি শতাংশ আখের খেত বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা করে। পাইকার খেতেই নগদ টাকা দিয়ে দেয়। একদিকে একই জমিতে মিলছে আলু সাথে মিলছে আখ সাথী ফসল করায় খরচ কম হচ্ছে চাষিদের।
দৌলতখানের আখের বেপারি মোঃ মনির মিয়া জানান , তারা পুরো আখের খেত কেনার পর প্রতিটি আখ কাটার জন্য তিন টাকা করে খরচ দিতে হয় তার পর ভ্যান ও গাড়ি ভারা দিয়ে একেকটি আখ বিক্রি করেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে আবার ১০/২০ টাকায়ও বিক্রি করতে হয়। তিনি জানান আখের চাহিদা ভালো রয়েছে। আখ মিস্টি ও নরম।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ হাসান মোঃ ওয়ারেসুল কবীর জানান,  বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি আখও অন্যতম একটি ফসল। কৃষকরা অখের সাথে আন্ত ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছে। কৃষি বিভাগ তাদের সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতে আখের আবাদ বাড়লে ভোলার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও আখ পাঠানো যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।