বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা ইউনিট।
‘বাঁচিয়ে রাখি মানবতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট ও ভোলা সরকারি কলেজ ইউনিট নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি মোঃ আজিজুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন,প্রতিটি দুর্যোগে আমাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যা ইউনিটকে আরো গতিশীল করছে। মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে জীন হেনরি ডুনান্টের প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’অন্যদিকে ভোলা সরকারি কলেজ ইউনিট দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজন করে। বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে কলেজ ইউনিটের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হওয়া এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল গফুর।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও যুব রেডক্রিসেন্ট কলেজ ইউনিটের সম্পাদক মো. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যহ্ স্বপন, ভোলা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি মো. আজিজুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. ইকবাল হোসেন। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক যুব প্রধান সাংবাদিক আদিল হোসেন তপু।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আজ বিশ্ব রেড ক্রোস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী হয়ে গড়ে উঠার শপথ নিতে হবে। আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। যখন কেউ কোনো কারণে বিপদে পড়ে তখন তাদের মানবিক সহায়তা ও আশ্রয় প্রয়োজন হয়। শিক্ষার্থীরা যদি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হয়, তখন তারা এমন অবস্থায় নিজেদের সেবক হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে । এসময় যুব রেডক্রিসেন্ট কলেজ ইউনিটের দলনেতা মো. রায়হান'সহ সকল অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধহীন মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের ৭টি মূলনীতি ও মানবসেবামূলক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশ (পিও-২৬) জারি করেন। এ আদেশের বলে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর, ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তেহরানে রেড ক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।