অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে মার্চ ২০২৪ বিকাল ০৪:১৫

remove_red_eye

২৬৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : "উদ্ভাবনায় বন,সম্ভাবনায় বন "এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে উপকূলীয় জেলা  ভোলায় আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে উপকূলীয় বন বিভাগ ভোলা জেলার আয়োজনে  র‌্যালি ও
আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন বিভাগের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে চরনোয়াবাদ এলাকা প্রদক্ষিণ করে । পরে  উপকূলীয় বন বিভাগের হলরুমে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপকূলীয় বন বিভাগ ভোলার সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান এর সভাপতিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগ ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তোতা মিয়া। 
 আলোচনা সভায় এ সময় যুক্ত হন -ঢাল চরের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুফল রায়, লালমোহন উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা আশীষ কুমার দে,
 বন বিভাগের সুফল প্রকল্প সিএমওজাফর আলম ভুইঞা। 
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,পৃথিবীর প্রায়  এক- তৃতীয়াংশ বনভূমি।একটি বনে  প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ গাছ থাকে। বছরে ৭৪০ কেজি অক্সিজেন গ্রহণ করে। বছরে ১০০ কেজি পর্যন্ত অক্সিজেন দেয়।মানুষের বেঁচে থাকা আর পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করা দুটো কাজই বনাঞ্চলগুলো করে থাকে। 
এ সময় বক্তারা আরো বলেন,পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বন, সামাজিক বন এবং উপকূলীয় প্যারাবন রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা বলেন বন বা বৃক্ষরাজি আমাদেরকে যেমনিভাবে অক্সিজেন দেয় তেমনিভাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের সংকটময় মুহূর্তে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে উপকূলে উষ্ণায়ন ও দুর্যোগের কবল থেকে দ্বীপবাসীর সুরক্ষায় উপকূল জুড়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং দ্বীপের রক্ষাকবচ খ্যাত সবুজ প্যারাবন রক্ষায় বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। পাশাপাশি বিশ্ব বনদিবসে বৃক্ষের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচি জোরদার করার অঙ্গিকার করেন তাঁরা।

 





আরও...