লালমোহন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮ই মার্চ ২০২৪ বিকাল ০৪:৩৭
৪১৭
লালমোহনে বেদে সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবারের জীবনযাপন
লালমোহন প্রতিনিধি : বেড়া আর ছাউনি, সবখানেই পলিথিনে মোড়ানো। এই পলিথিন দিয়ে তৈরি ছোট্ট ঝুপড়ি ঘর। যেখানে একসঙ্গে বসবাস করছেন ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী। প্রতিটি ঝুপড়ি ঘরের শিশু, নারী-পুরুষ সকলে মিলেমিশে দিন পার করছেন। যেন কারও মধ্যেই কোনো আক্ষেপ নেই। ঝুপড়ি ঘরখানাই যেন তাদের কাছে এক টুকরো স্বর্গ। এমন চিত্র ভোলার লালমোহন উপজেলার বেদে সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবারের। উপজেলার লাঙলখালী স্টেডিয়াম এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে বাস করছেন বেদে সম্প্রদায়ের ১৬টি পরিবার।
এই বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানেই পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে বাস করেন। ঝুপড়ি ঘর হলেও সেখানে রয়েছে সবকিছু। সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে সন্ধ্যার পর আলোকিত হয় তাদের ঝুপড়ি ঘরখানা। ওই ঝুপড়ি ঘরের কোণে রাখা রান্না-বান্নার চুলা। ভেতরে গান শুনার জন্য কারও ঘরে সাউন্ড বক্সও রয়েছে। এই বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা দেখলে মনে হবে ঝুপড়ি ঘরে বসেই তারা রাজপ্রাসাদের সুখ উপভোগ করছেন।
লাঙলখালী স্টেডিয়ামে বাস করা বেদে সম্প্রদায়ের বাসিন্দা মো. পবন সরদার বলেন, আমাদের সকলের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খড়িয়া এলাকায়। আমরা ৬ মাস নিজ গ্রামের বাহিরে থাকি। আর ৬ মাস নিজ গ্রামেই থাকি। নিজ গ্রামে থেকে কেউ কৃষি কাজ, আবার কেউ ছোট খাটো ব্যবসা করেন। যে ৬ মাস নিজ গ্রামের বাহিরে থাকি তখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাই। একা নয়, পুরো পরিবারসহ-ই আমরা অন্য জেলায় গিয়ে অবস্থান করি। গত মাসখানেক আগে একসঙ্গে কয়েকটি পরিবার লালমোহনে এসেছি। এখানে এসে আমরা সাপ ধরা, হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণ ও রূপা খোঁজার কাজ করি। এই কাজ করে প্রতিদিন গড়ে চারশত টাকার মতো উপার্জণ হয়। এই উপার্জণেই চলে আমাদের সংসার।
বেদে সম্প্রদায়ের নারী মোসা. রহিমা বিবি জানান, পুরুষদের পাশাপাশি আমরাও কাজের সন্ধানে সকালে বের হই। আমরা মূলত মানুষের কোমড় ও দাঁত ব্যথার কবিরাজি চিকিৎসা দিয়ে থাকি। আমরা মহিলা হওয়ায় তেমন দূরে যেতে পারি না। কাছাকাছি এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে এ কাজ করি। এতে করে প্রতিদিন দেড়শত থেকে দুইশত টাকার মতো ইনকাম করতে পারি। এই টাকা দিয়ে স্বামীকে সংসার চালাতে সহযোগিতা করি।
বেদে সম্প্রদায়ের মো. মহিউদ্দিন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে এখানে থাকি। প্রতিদিন সকালে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই কাজের সন্ধানে বের হই। আবার বিকালে ফিরি। এরমধ্যে যা আয় হয় তা দিয়েই চলি সকলে মিলে। তবে এখন রোজা থাকায় তেমন কাজ নেই। তাই সরকারিভাবে কিছু চাল সহযোগিতা বা রমজান উপলক্ষ্যে খাদ্য সামগ্রী পেলে আমাদের এখানে বসবাস করা সকলের জন্য খুবই ভালো হতো।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমি সরেজমিনে তাদের অবস্থান পরিদর্শন করবো। পরবর্তীতে বরাদ্দ অনুযায়ী তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা
বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই
জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারালো : প্রধান উপদেষ্টা
মহাকালের সমাপ্তি
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৭ দিনব্যাপী শোক পালন করবে বিএনপি
ভাবতেই পারছি না নেত্রী আমাদের মাঝে নেই: অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে ফখরুল
বেগম খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন
জীবনে কোনো নির্বাচনে হারেননি খালেদা জিয়া
যেভাবে ‘আপসহীন নেত্রী’ হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেতাকর্মীরা
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ঢাকা-ভোলা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসে যুক্ত হলো এমভি দোয়েল পাখি-১র
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
জাতীয় সংসদে জাতির পিতার ছবি টানানোর নির্দেশ
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক